প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতিসংঘের এবারের অধিবেশনে রোহিঙ্গা সমস্যা ও এর স্থায়ী সমাধানের বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়, যা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখবে বলে আমি আশা করি।
সোমবার (৪ অক্টোবর) জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের ওপর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনা মহামারি শুরু হওয়ার প্রায় দুই বছর পর এবারই প্রথম আমি দেশের বাইরে সশরীরে কোনো আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিই। নিউইয়র্কে অবস্থানকালে আমার অত্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনের মূল সভা ও সাইড ইভেন্ট মিলিয়ে আমি সর্বমোট ১০টি সভা ও ৮টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিই। ৭৬তম অধিবেশনের সাধারণ বিতর্ক পর্বের উদ্বোধনী দিনেও আমি যোগ দিই।
তিনি বলেন, এবারের অধিবেশনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল করোনা মহামারি থেকে টেকসই উত্তরণ। কোভিড-১৯ টিকার সর্বজনীন প্রাপ্যতা, সহজলভ্যতা ও মহামারি থেকে টেকসই পুনরুদ্ধার স্বভাবতই আলোচনায় প্রাধান্য পেয়েছে। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়ন, সমতা ও অন্তর্ভুক্তি, বর্ণবাদ, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট তথা এসডিজি, পারমাণবিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ ইত্যাদি বিষয়গুলো আলোচনায় উঠে এসেছে।
শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে যোগদান এবং বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের ইভেন্টে অংশগ্রহণের জন্য এক সরকারি সফরে গত ১৯ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থান করেন।
পরে ২৫ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থান শেষে ১ অক্টোবর দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী।
গত ১৯ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিউইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনের সাধারণ বিতর্কে বক্তব্য রাখেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে বাংলায় ভাষণ প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী সেখানে বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের ও রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যোগ দেন এবং বিভিন্ন সরকার, রাষ্ট্র ও সংগঠনের প্রধানের সঙ্গে কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন।
তিনি ২০ সেপ্টেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শত-বার্ষিকী উপলক্ষে তার সম্মানে জাতিসংঘ সদরদপ্তরের নর্থ লনের ইউএন গার্ডেনে উৎসর্গকৃত একটি বেঞ্চ উদ্বোধন এবং একটি চারাগাছ রোপন করেন।