জাতীয় ক্রিকেট লিগে ম্যাচ চলাকালীন সতীর্থ খেলোয়াড় আরাফাত সানির (জুনিয়র) গায়ে হাত তোলার অপরাধে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে জাতীয় দলের সাবেক পেসার শাহাদাত হোসেন রাজিবকে। কোনো ক্রিকেটারের গায়ে হাত তোলা বাংলাদেশের ক্রিকেটের আইন অনুযায়ী এটিকে ধরা হয় লেভেল-৪ মাত্রা অপরাধ। যার ন্যূনতম শাস্তি ১ থেকে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা।
তবে এই পাঁচ বছরের শাস্তির মধ্যে আবার দুই বছর স্থগিত রাখা হয়েছে। যার মানে দাঁড়ায় মূল শাস্তি পাঁচ বছর হলেও আগামী তিন বছর বিসিবির অধীনে কোনো ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না শাহাদাত হোসেন রাজিব।
সকাল সাড়ে ১১ টার পর থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারির রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার পর জাতীয় লিগ টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানান, ‘আমরা শাহাদাত হোসেন রাজিবকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছি। এর মধ্যে প্রথম তিন বছর সে বিসিবির অধীনে কোনরকম ক্রিকেটীয় কর্মকান্ডে অংশ নিতে পারবেনা। পরের দুই বছর সে কড়া নজরদারিতে থাকবে। তখন কোনরকম শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে পুরো ৫ বছর নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে হবে।’
আরাফাত সানিকে মারধরের ঘটনার সূত্রপাত বল ঘষা নিয়ে। গত রোববার ঢাকা বিভাগ ও খুলনা বিভাগের মধ্যকার ম্যাচে ঢাকার পেসার মোহাম্মদ শহীদ ছিলেন বোলার। ফিল্ডার আরাফাত সানি ফিল্ডিং করছিলেন মিড অফে। শাহাদাত রাজিব ছিলেন মিড অনে। বোলারের হাতে বল দেয়ার আগে রাজিব সতীর্থ ক্রিকেটার আরাফাত সানিকে বলেন, ভালো মতো বলটা ঘষে দিতে যাতে ঔজ্জ্বল্য ঠিক থাকে।
কিন্তু আরাফাত সানি তা করতে অস্বীকৃতি জানান। তখন রাজিব এগিয়ে গিয়ে আরাফাত সানির কাছে জানতে চান, কেন বল ঘষে দেবে না? রীতিমতো চার্জ করা শুরু করেন তিনি। এ নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আরাফাত সানিকে কষে চড় বসিয়ে দেন রাজিব। রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে লাথিও মারেন।
উদ্ধত রাজিবকে থামানোর চেষ্টা করেন অন্য সতীর্থরা। তবু থামানো যাচ্ছিল না। পরে তাকে জড়িয়ে ধরে ড্রেসিং রুমে পাঠিয়ে দেন তারা। সেখান থেকে সরাসরি ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়। যে কারণে ম্যাচের শেষ দুদিন আর খেলতে পারেননি রাজিব।
এনএ/রাতদিন