করোনাভাইরাস মহামারীর নতুন ধাক্কা সামাল দিতে সরকার চলাফেরা ও লোক সমাগমের ক্ষেত্রে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রোববার, ২৮ মার্চ রাতে সংবাদমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেছেন, সোমবারই দেশের কিছু এলাকার জন্য এ ধরনের ঘোষণা ‘আসতে পারে’।
“আগামীকাল হয়ত বিভিন্ন টাইপের লকডাউনের ঘোষণা আসবে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি- এসব এলাকায় যাওয়া-আসা বন্ধ করা, বিয়ে শাদী অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, পিকনিক এগুলোও বন্ধ করা… যেখানে জনসমাগম হয় সেসব অনুষ্ঠানে বিধিনিষেধ আসতে পারে।”
মন্ত্রী জানান, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কিছু প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
“আমাদের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব গেছে। এতে অনেকগুলো প্রস্তাব ছিল। সেগুলো দেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা জারি করবেন। তার মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের লকডাউন থাকবে।”
গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হার কমে এসেছিল; কিন্তু মার্চের শুরু থেকে তা আবার দ্রুত বাড়ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ হাজার ৯০৮ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে; মৃত্যু হয়েছে আরও ৩৫ জনের।
মহামারীর নতুন ধাক্কা মোকাবেলার প্রস্তুতি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে রোববারই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৬ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও বর্তমানে করণীয় সম্পর্কে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ১২টি প্রস্তাব উত্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
সে বৈঠকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সম্ভব হলে পুরোপুরি লকডাউনে যাওয়া, পুরোপুরি লকডাউন সম্ভব না হলে ‘ইকোনমিক ব্যাল্যান্স’ রেখে যে কোনও জনসমাগম বন্ধ করার সুপারিশ আসে।
কাঁচাবাজার, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, শপিং মল, মসজিদ, রাজনৈতিক সমাগম, ভোট অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, পবিত্র রমজানের ইফতার পার্টি ইত্যাদি সংকুচিত বা সীমিত করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেগুলো বন্ধ আছে সেগুলো বন্ধ রাখা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কার্যক্রম সীমিত রাখাসহ ১২টি সুপারিশ এসেছিল বৈঠক থেকে।