ওসি মোয়াজ্জেমের ৮ বছরের কারাদণ্ড

ফেনীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাতের জবানবন্দির ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়ানোর মামলায় সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমকে ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড।

বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আল সামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ রায় প্রদান করেন। দুপুর ২টা ১৭ মিনিটে ওসি মোয়াজ্জেমকে এজলাসে আনা হয়। এর আগে সকাল পৌনে ১০টায় তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তার উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়েছে।

রায় শেষে তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে ফের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রায় প্রচার উপলক্ষে মামলার বাদি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন আদালতে উপস্থিত হন। রায়ে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

গত ১৬ ‍জুন বিকালে হাইকোর্ট এলাকা থেকে তাকে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশ। পরদিন তাকে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গত ১৫ এপ্রিল সোনাগাজী থানার প্রত্যাহার করা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

ওইদিন সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আল সামছ জগলুল হোসেন বাদির জবানবন্দি রেকর্ড করে ঘটনাটি তদন্ত করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে নির্দেশ দেন।

পিবিআই ঘটনা তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দাখিল করলে গত ২৭ মে ট্রাইব্যুনাল প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতারে পরোয়ানা জারি করেছিলেন।

জবানবন্দি দেওয়ার সময় বাদি সুমন বলেছিলেন, যৌন হয়রানির বিষয়ে নুসরাত থানায় অভিযোগ করতে গেলে আসামিসহ তাকে থানায় নেওয়া হয়। সেই সময় ওসি মোয়াজ্জেম তাকে আপত্তিকর জেরা করেন ও জেরার ভিডিও তার মোবাইল ফোনে ধারণ করেন।

নুসরাতের মৃত্যুর পরদিন ১১ এপ্রিল বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি তা ছেড়ে দেন। থানার ভেতরে এমন ভিডিও ধারণ করা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপরাধ।

গত ১০ এপ্রিল অগ্নিদগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এনএ/রাতদিন