ওয়াইফাই ব্যবহারে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি

আজকাল অনেকেই বাড়িতে ওয়াইফাই ব্যবহার করেন অনলাইনে সক্রিয় থাকার জন্য। কিন্তু এক গবেষণায় জানা যায়, এই সংযোগের কারণে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা হয়। বিশেষ করে শিশুদের স্বাস্থ্য বেশি ঝুঁকির মুখে পড়ে। ওয়াইফাই চালু থাকলে এক ধরনের রেডিয়েশন তৈরী হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আর শিশুদের জন্য তা আরও মারাত্মক ঝুঁকির কারণ হতে পারে।

ওয়াইফাই সংযোগের কারণে যেসব সমস্যা হতে পারে-

১. গোটা বিশ্বে অনেকেই ইনসোমিয়া বা নিদ্রাহীনতায় ভোগেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্মার্ট ফোন বা ওয়াইফাই থেকে বের হওয়া রেডিয়েশন অনেকক্ষেত্রে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। আর ঘুম না হলে স্বাস্থ্যেরও হানি ঘটে।

২. ওয়াইফাই ডিভাইস থেকে নির্গত হওয়া রেডিয়েশনের কারণে গর্ভস্থ ভ্রুণের বিকাশ প্রভাবিত হয়। এছাড়া শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশও ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

. নিয়মিত ওয়াইফাই ব্যবহারে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। এর থেকে বের হওয়া রেডিয়েশনের কারণে আলঝাইমার রোগের সম্ভাবনা বাড়ে।

৪. একনাগাড়ে ওয়াইফাই ব্যবহারের কারণে হৃদরোগজনিত সমস্যা তৈরি হতে পারে।

৫. ওয়াইফাই ব্যবহারে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়।

দৈনন্দিন জীবনে ওয়াইফাইয়ের প্রয়োজনীয়তা যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এ কারণে এর রেডিয়েশন থেকে বাঁচতে কিছু পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যেমন-

১. গর্ভাবস্থায় স্মার্ট ফোন ব্যবহারে সতর্ক হোন। গর্ভস্থ সন্তান থেকে যথাসম্ভব দূরে রাখুন ফোনটি। এতে আপনার সন্তান ওয়াইফাইয়ের ক্ষতিকর রেডিয়েশন থেকে বাঁচবে।

২. অনেকেই মনে করেন, ফোন থেকে ওয়াইফাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ঘুমাতে গেলেই আর সমস্যা হবে না। এটা ঠিক নয়। যতক্ষণ ঘরের মধ্যে ওয়াইফাই চালু থাকবে ততক্ষণই রেডিয়েশন হবে। এ কারণে ঘুমানোর আগে ওয়াইফাইয়ের সুইচ বন্ধ করে রাখা ভাল।

৩. ওয়াইফাই থেকে বের হওয়া রেডিয়েশনের মাত্রা কমাতে চাইলে রাউটা রান্নাঘর কিংবা শোবার ঘরে রাখবেন না।

এনএইচ/রাতদিন