বয়স তার মাত্র একদিন। আরও নির্ভুলভাবে বললে, শিশুটির বয়স ৩০ ঘণ্টা। সদ্যোজাত সেই একরত্তির শরীরেও থাবা বসাল নোভেল করোনাভাইরাস। করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত চিনের উহান শহরের ওই একরত্তি শিশুটি এখন মিডিয়ার নজরে।
ডাক্তাররা জানাচ্ছেন, করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে ওই শিশুটিই সর্বকনিষ্ঠ। তবে ওই নবজাতক ছেলে না মেয়ে, তা জানা যায়নি।
চিনা সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, শিশুটির মার শরীরে ওই ভাইরাস ছিল। তাঁর থেকে শিশুর দেহেও সংক্রমণ ঘটেছে। আইসোলেশনে রেখে মা ও শিশুর চিকিত্সা চলছে। তবে, মা ও সন্তান এখন কেমন আছে, তা জানা যায়নি।
অন্যদিকে গত সপ্তাহেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আর এক চিনা মহিলা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তবে, সেই সদ্যোজাতের দেহে এই ভাইরাস মেলেনি।
চিনে ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছুঁইছুঁই। সরকারি পরিসংখ্যানে, মৃতের সংখ্যা ৪৯০ জন। আক্রান্তের সংখ্যা আরও ২৪ হাজার। মৃতদের বেশির ভাগই হুবেই প্রদেশের বাসিন্দা।
এদিকে, হংকংয়েও করোনায় মঙ্গলবার এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর মিলেছে। হংকং প্রশাসন ঘোষণা করেছে, চিনের মূল ভূখণ্ড থেকে সেখানে কেউ ঢুকলে, তাঁদের দু’সপ্তাহের জন্য কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে।
চিনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে আরও ২৬টি দেশে এই ভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। সুত্র: এইসময়।