সম্প্রতি করোনা ভাইরাস বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। চীনের উহানে গত বছর ডিসেম্বর মাসে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়।
১৯৬০ সালে বিজ্ঞানীরা করোনা ভাইরাস আবিষ্কার করেন। এই ভাইরাসের এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারেনি বিজ্ঞানীরা।
করোনাভাইরাস শব্দটি ল্যাটিন নাম করোনা থেকে নেওয়া হয়েছে। ল্যাটিন এই শব্দটির অর্থ হলো মুকুট।
বিজ্ঞানীরা ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে এই ভাইরাসকে অনেকটা ক্রাউন আকৃতির মতো দেখেন। ক্রাউন থেকে মূলত ল্যাটিন করোনা নামকরণ করা হয়েছে। প্রথমদিকে মুরগির মধ্যে সংক্রামক ব্রঙ্কাইটিস ভাইরাস হিসেবে এটি দেখা যায়। পরে সাধারণ সর্দিকাশিতে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এরকম দুই ধরনের ভাইরাস পাওয়া যায়।
ভাইরাসটির আরেক নাম ২০১৯-এনসিওভি। এটিও এক ধরনের করোনাভাইরাস। করোনাভাইরাসের অনেক রকম প্রজাতি আছে, কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ছয়টি মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে। তবে নতুন ধরনেরভাইরাসের কারণে সেই সংখ্যা এখন থেকে হবে সাতটি।
এই ভাইরাসের উপরের অংশ প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি সবার প্রথমে প্রোটিন সংক্রমিত টিস্যুকে আক্রমণ করে। মানবদেহের শ্বাসনালীতে আক্রমণ করায় এই ভাইরাসে রোগী অল্প সময়ের মধ্যে মারা যায়।
ভয়াবহ এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত চীনে ৮১ জন মারা গেছে। ইতোমধ্যে বিশ্বের বেশ কিছু দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। তবে তাদের সবাই চীন থেকে আগত।
এনএ/রাতদিন