দিনাজপুরে বৃহৎ পর্যটন স্পট স্বপ্নপূরী করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছে। করোনায় বন্ধ থাকায় গত কয়েক মাসে সাড়ে তিন কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বলে কতৃপক্ষ দাবি করেছে। এর ফলে শ্রমিকের ব্যয়সহ আনুসাঙ্গীক ব্যয় বহন করতে হিমশিম খাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
অপরদিকে আয় না থাকায় পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন স্বপ্নপূরীর ভেতরে বিভিন্ন কাজের সাথে জড়িত অনেক মানুষ।
স্বপ্নপূরী সূত্র জানায়, ১৯৮৯ সালে দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলায় স্বপ্নপূরীর কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে একশত পঞ্চাশ বিঘা জমি নিয়ে বিশাল পর্যটন শিল্পটিতে কার্যক্রম চলছে। এটিকে ঘিরে গড়ে ওঠা দোকনদারসহ বিভিন্ন পেশার প্রায় ৮০০মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা রয়েছে। আর মালী, নিরাপত্তাকর্মী ও পরিচ্ছন্নকর্মী রয়েছেন ৫ শতাধিক। বর্তমানে এসব শ্রমিকের বেতনসহ পরিবারের ব্যয়বহন করছেন স্বপ্নপূরী পরিবার। তবে দোকানদার-হকার পেশার মানুষেরা বেকার হয়ে পড়েছেন চরম বেকায়দায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্বপ্নপূরীতে এখন আর আগের মতো কোলাহল নেই। রাস্তার পাশের ফুলগাছগুলো সতেজ হয়ে উঠেছে, ফুটেছে ফুল। পুকুরে থাকা স্পিডবোর্ডগুলো অলস পড়ে রয়েছে। লেকের উপর ক্যাবল কারে মরচে ধরেছে। ভেতরে থাকা দোকানের বেশিরভাগই রয়েছে বন্ধ। শ্রমিক ছাড়া কেউ নেই ভেতরে ।
স্পিডবোর্ড চালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘করোনায় মানুষ না আসায় কয়েক মাস ধরে স্পিডবোর্ড চলছে না।
সেখানে থাকা দোকান মালিক আনোয়ার হোসেন ও ঘোড়ার গাড়িচালক মেহের আলীর মতো বিভিন্ন পেশার কয়েকজন জানান, তারা এখন কর্মহীন হয়ে পরিবার নিয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন।
স্বপ্নপূরীর ম্যানেজার মুক্তার হোসেন জানান, স্বপ্নপূরীতে সবচেয়ে বেশি লোকসমাগম হয় ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত। এই সময়ে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন হাজারো মানুষ আসে পিকনিকে। কিন্তু এবার কিছুই হয়নি।
স্বপ্নপূরীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে প্রতিষ্ঠানটি লোকশানের মুখে পড়েছে।
এবি/রাতদিন