কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর আর নেই

জনপ্রিয় কন্ঠ শিল্পী এন্ডুকিশোর আর নেই। সিঙ্গাপুরে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে গত ২০শে জুন রাজশাহীতে তার বোনের বাসায় উঠেন। সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এই কিংবদন্তী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৫ বছর।

আজ সোমবার, ৬ জুলাই সন্ধ্যা ৭ টায় রাজশাহীতে তার বোনের বাসায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। দীর্ঘদিন যাবত ব্লাড ক্যান্সারে ভুগছিলেন এই জনপ্রিয় শিল্পী।

তার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে গতকাল রবিবার বিকেলে হঠাৎ করেই এন্ডুকিশোরের শারিরিক অবস্থার অবনতির গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে তার ভক্তদের মাঝে হতাশা দেখা দেয়।

ডা. শিখা বিশ্বাস বলেন, সিঙ্গাপুরে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে গত ২০শে জুন রাজশাহীতে তাদের বাসায় উঠেন। গতকাল থেকে শারিরিকভাবে বেশী অসুস্থ হয়ে পড়েন। গতকাল থেকে তিনি বলতে পারছিলেন না বলেও জানান শিখা বিশ্বাস।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ নয় মাস পর গত ১১ই জুন রাত আড়াইটায় সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেন এন্ড্রু কিশোর। গত বছর ৯ই সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। কিডনি ও হরমোনজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন ক্যান্সারে আক্রান্ত এই শিল্পী।

ব্যয়বহুল এই চিকিৎসা সহায়তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিল্পীর পরিবারের পাশাপাশি সংগীতশিল্পী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, বেশকিছু প্রতিষ্ঠান এবং প্রবাসীরা এগিয়ে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অ্যান্ড্রু কিশোরকে চিকিৎসার জন্য ১০ লাখ টাকা দেন।

১৯৭৭ সালে এন্ড্রু কিশোর আলম খানের সুরে ‘মেইল ট্রেন’ চলচ্চিত্রে ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ’ গানের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক যাত্রা শুরু করেন। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।

তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যেখানে’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান’, ‘ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘পদ্মপাতার পানি’, ‘ওগো বিদেশিনী’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘আমি চিরকাল প্রেমের কাঙ্গাল’ প্রভৃতি।

জেএম/রাতদিন