কুড়িগ্রাম শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারি প্রকৌশলী জুবাইদুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। তিনি কয়েকদিন থেকে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। তবে তিনি হার্ট এটাকে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে দাবি করেছেন চিকিৎসক ও তার পরিবার।
জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান আলী তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান আলী জানান, সোমবার জুবাইদুল ইসলাম হালকা জ্বরে অসুস্থ হয়ে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মঈনুদ্দিনের কাছে চিকিৎসা নিতে গেলে তার ডেঙ্গু পজেটিভ হয় এবং তার হার্টেও সমস্যা ধরা পড়ে। এরপর মঙ্গলবার তার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে বুধবার সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সেখানে তার করোনাভাইরাস পরীক্ষার নমুনা নেওয়া হয় এবং আইসোলেশনেও নেওয়া হয়। এরপর বুধবার বিকালে পরিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান।
তবে তার চিকিৎসক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা.মঈন উদ্দিন জানান, তিনি তাঁর স্ত্রীসহ জ্বর নিয়ে আসেন। সেসময় তার কোন শ্বাসকষ্ট ছিল না। তার স্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী তার এক্সরে করা হয় এবং হার্টে ছিদ্র ধরা পড়ে।
তিনি আরো জানান, যেহেতু তিনি ঢাকা থেকে আসেননি কিংবা বিদেশফেরত কারো সাথে মেশার কোন তথ্য ছিলনা তাই তার করোনা উপসর্গ ছিল না বলে মনে হয়। তার প্লাটিলেট কম হওয়ায় ডেঙ্গু জ্বর ও হার্টের কারণে হার্টের ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।
জুবাইদুলের স্ত্রী জুঁই আক্তার জানান, বিয়ের পর তিনি জানতে পারেন তার স্বামীর হার্টে জন্মগত ত্রুটি রয়েছে। এ কারণে বুকের ব্যাথার সমস্যাটি মাঝে মাঝে হতো।
কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান জানান, আমি যতটুকু জানি তিনি বিশেষজ্ঞ মেডিসিন চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাচ্ছিলেন। জ্বর হলেও তার করোনার কোন লক্ষণ ছিল না। হার্টে তার ছিদ্র ছিল বলে যতদূর জানি। তবে রংপুর মেডিকেল কলেজে তার নমুনা সংগ্রহ করেছে। রেজাল্ট পেলে আমরা করোনা কিনা তা জানতে পারব।
সহকারি প্রকৌশলী রায়হান আলী জানান, জুবাইদুল ইসলামের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারায়। তার মৃত্যুর পর রাতেই তাকে দেশের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি ৩ বছর ধরে কুড়িগ্রাম জেলায় চিলমারী ও উলিপুরে কর্মরত ছিলেন।
মৃত্যুর সময় তিনি স্ত্রী ও দুই বছরের এক পুত্র সন্তান রেখে যান বলে জানান তিনি।