কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় এক যুবককে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। পরিকল্পিত হত্যাকান্ডকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ করেন মৃতের স্বজনরা।
বুধবার, ১৪ এপ্রিল উপজেলার বড়ভিটা ইউপির পূর্ব-ধনিরাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের বাড়ি থেকে প্রায় ৪০০ গজ দূরের একটি বাগানের গাছ থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত জায়দুল ইসলাম উপজেলার বড়ভিটা ইউপির পূর্ব-ধনিরাম গ্রামের কৃষক তহিদুল ইসলামের ছেলে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, জায়দুল ইসলামের সঙ্গে মাস তিনেক আগে বিয়ে হয় ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউপির শাহবাজার সংলগ্ন ঘোগারকুটি গ্রামের আব্দুস ছালামের মেয়ে জেসমিন আক্তারের। জেসমিনের আগেও কয়েকটি বিয়ে হয়েছিল।
জায়দুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ের পর জেসমিন আক্তার তাকে নিয়ে ঢাকা যান। ঢাকায় থাকার সময়ে জায়দুলের সঙ্গে জেসমিনের ঝগড়া লেগেই থাকতো। এক মাস আগে জায়দুল জেসমিনকে নিয়ে নিজ বাড়িতে আসে।
লাগাতার ঝগড়া বিবাদের প্রেক্ষিতে জেসমিন জায়দুলকে ছেড়ে তার বাবার বাড়ি আসার চেষ্টা করলে জায়দুল বাধা দেয়। এর ফলে সৃষ্ট বিবাদে জায়দুল সোমবার রাতে তার স্ত্রীকে মারধর করে। এ ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার বিকেলে জেসমিনের মা এসে জেসমিনকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়।
ওইদিন সন্ধ্যায় জায়দুল ইসলাম স্ত্রী জেসমিনকে ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যে তার শ্বশুরবাড়ি যায়। বুধবার সকালে গলায় রশি প্যাঁচানো জায়দুলের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায় চরাঞ্চলের নির্জন একটি বাগানের গাছে।
জায়দুলের বাবা তহিদুল ইসলাম ও মা জামেনা বেগম অভিযোগে বলেন, আমাদের ছেলেকে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নিয়ে ছেলের স্ত্রী জেসমিন আক্তারসহ তার বাড়ির লোকজন হত্যা করে। পরে রাতের আঁধারে বাগানের গাছে ঝুলিয়েছে। আমরা ছেলে হত্যার বিচার চাই।
স্থানীয় পূর্ব-ধনিরাম গ্রামের ইউপি মেম্বার আব্দুল হামিদ বলেন, জায়দুল ইসলামকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে চরাঞ্চলের একটি গাছে লাশটি ঝুলিয়েছে। বিষয়টি থানাকে অবগত করেছি।
হত্যাকান্ডটি পরিকল্পিত হতে পারে বলে ওই ইউপি সদস্য জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ধামাচাপা দিতেই হয়তো লাশটি গাছে ঝুলিয়েছে।
ফুলবাড়ী থানার এসআই হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, এখনো নিহতের পরিবারের পক্ষে কোনো অভিযোগ দেয়নি। তবে আপাতত একটি ইউডি মামলা হবে। ময়নাতদন্তের পর বোঝা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।