তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেছেন, ‘ফুলবাড়ী কয়লা খনি নিয়ে এখনও দেশে ও বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। কয়লা খনি নিয়ে ভারত ও চীনের বিভিন্ন কোম্পানির ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত রয়েছে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি নিয়ে সব ধরনের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে।’
আজ সোমবার, ২৬ আগস্ট দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার নিমতলা মোড়ে ফুলবাড়ী ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি উপজেলা শাখা এ সমাবেশের আয়োজন করে।
দিবসটি উপলক্ষে আজ সকালে ফুলবাড়ী থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নিহতদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
তিনি আরও বলেন, ‘বর্জ্য ও বায়ু দিয়ে দেশের বিদ্যুৎতের চাহিদা মেটানো সম্ভব। দেশের মাটির নিচে অনেক সম্পদ রয়েছে। সেই সম্পদের দিকে বিদেশিদের নজর। সরকারকে অবিলম্বে বড়পুকুরিয়া নিয়ে সম্পাদিত ৬ দফা চুক্তি বাস্তবায়ন হবে। আগামী অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি হাতে নিবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও দিনাজপুরমুখী পদযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেন, ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন চার দলীয় সরকার ফুলবাড়ীবাসীর সঙ্গে ৬ দফা চুক্তি করেছে। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সেই ৬ দফা দাবি তথা ফুলবাড়ীবাসীর সঙ্গে একমত হয়ে কথা দিয়েছেন। ৬ দফা চুক্তির মূল কথা ছিল এশিয়া এনার্জিকে দেশ থেকে বের করে দেওয়া। এছাড়াও খনি থেকে কয়লা উত্তোলনের কাজ এমনভাবে করতে হবে, যাতে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। চুক্তি না মানার জন্যই এশিয়া এনার্জি এখন চীনা কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে। অথচ সরকারের সচিব বলছেন তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকী, জাতীয় গণফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, বাংলাদেশের ইউনাইটে কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য নজরুল ইসলাম, সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহীন রহমান, বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সদস্য শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য আনছার আলী দুলাল, ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন লাবুসহ প্রমুখ।
এইচএ/রাতদিন