রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় গত আট দিন যাবত পাশাপাশি দুই বাড়ির খড়ের ঢিপিতে থেমে থেমে আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের চেংমারি কুটির বাজার, ডিপের পাড় নামক গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা,গত আট দিন আগে ওই এলাকার খোকা মিয়ার পুত্র দুলাল মিয়ার খড়ের ঢিপিতে প্রথম অগ্নিকাণ্ডের সুত্রপাত ঘটে। এলাকাবাসী তাৎক্ষণিক গংগাচড়া ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর পর দিন দুলাল মিয়ার পাশের বাড়ির জাফর আলীর পুত্র অহেদ আলীর বাড়িতে একই ভাবে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। এখানেও তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
কিন্তু পরদিন আবার দুলাল মিয়ার খড়ের ঢিপিতে আগুন লাগলে এলাকায় এক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এভাবে একাধারে ৮দিন যাবত ঐ দুই বাড়ির খড়ের ঢিপিতে আগুনের সুত্রপাত ঘটে আসছে।
এ’ ব্যাপারে অহেদ আলীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, গত রবিবার একই দিনে আমার বাড়িতে চারবার আগুন লাগে এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা বারবার আগুন নিভাতে এসে একপ্রকার বিরক্ত হয়ে যায়। পর পর তিন দিন ধরে বাড়িতে আগুন লাগার কারণে সোমবার আমার বাড়িতে মসজিদের ইমাম ও এলাকাবাসীকে নিয়ে দোয়ার আয়োজন করি। দোয়া শেষে খাওয়া দাওয়ার একপর্যায়ে হঠাৎ ঘড়ের মধ্যে রাখা খড়ের ঢিপির মাঝখানে আগুন লাগলে আমি ভয় পেয়ে বাড়ি ছেড়ে পরিবার নিয়ে অন্যত্র গিয়ে রাত্রি যাপন করি।
এ ঘটনার পর গত সোমবার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন গংগাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমা বেগম।
মঙ্গলবার বিকাল ৩ টার দিকে আবারো দুলাল মিয়ার খড়ের ঢিপিতে আগুন লাগলে বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত লোক লোকজন ছুটে আসে। পুরো এলাকায় বিষয়টি নিয়ে একপ্রকার রুপকথার গল্পের নানা প্রকার ‘মিথ’ চালু হয়েছে।
গংগাচড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার নাসিম রেজা বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তবে তিনি অগ্নিকাণ্ডের প্রাথমিক কারণ জানাতে পারেন নি। তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উৎঘাটনের চেষ্টা চলছে।
জেএম/রাতদিন