ছিটমহলের খবর এখন কেউ রাখে না, দুর্দশায় কাটছে তাদের জীবন

মরণব্যাধী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে পঞ্চগড়ের ৫ উপজেলায় চলছে অঘোষিত লকডাউন। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে এই এলাকার অনেক মানুষ। সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়েছেন দিন এনে দিন খাওয়া শ্রমিকরা। সরকারি-বেসরকারি সাহায্য সহযোগিতায় জেলায় জেলায় ত্রাণ বিতরণ করা হলেও বোদা উপজেলার পুঠিমারী ছিটমহলের বাসিন্দাদের খবর রাখছেন না কেউ। ছিটমহলে বসবাসকারী ১২০ পরিবার করোনাভাইরাসের কারণে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল সরেজমিনে গেলে তাদের দুর্দশার খবর জানা যায়।

পুঠিমারী ছিটমহলের বসবাসরত পরিবারগুলোর সঙ্গে বার্তা২৪.কম এর কথা হলে অভিযোগের সুরে তারা বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে প্রশাসন বাইরে বের না হওয়ার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ মোতাবেক আমরা ১৪ দিন ধরে বাড়িতে অবস্থান করছি। এই কারণে আমাদের হাতে কাজ নেই, কোনো টাকা নেই। জমানো যা ছিল সব খরচ হয়ে গেছে। প্রশাসন জেলার অনেক জায়গায় ত্রাণ দিলেও আমাদের কেউ খোঁজ করেননি।

পুঠিমারী ছিটমহলের সাবেক সভাপতি তসলিম উদ্দিন জানান, আমরা ছিটমহল অধিবাসী কারও থেকে কোনো সাহায্য সহযোগিতা পাইনি। চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা সাহায্য করেনি। শুধু আশাই দিয়ে গেছে। আমরা খুব কষ্টে আছি।

বোদা উপজেলার ময়দান দিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার জানান, পুঠিমারী ছিটমহলের বয়স্ক, বিধবা এবং প্রতিবন্ধী কার্ডধারী প্রায় ৩০ জন ও ভিজিডি কার্ডধারী ১৫ থেকে ২০ জন রয়েছে তাদেরকে চাল দেয়া হয়েছে। পরিষদে অনেক আইডি কার্ড জমা হয়েছে তাদের মধ্যে ১০-১৫ জনকে আমরা চাল দিয়েছি। আরো কেউ জমা দিলে তাকেও চাল দেয়া হবে।

এ বিষয়ে বোদা উপজেলার নির্বাহী অফিসার সলেমান আলী জানান, পুঠিমারী ছিটমহলের মানুষেরা ত্রাণ পেয়েছে কিনা আমরা খোঁজ নিচ্ছি।

এনএ/রাতদিন