নুরে জান্নাত। বয়স ছয় বছর। দরিদ্র কৃষিশ্রমিক সিদ্দিক আলী আর গৃহবধূ ফেন্সিআরা দম্পতির একমাত্র সন্তান।
হাতের কাছে যা পায়, তাই দিয়ে শরীরে আঘাত করে জান্নাত। তার শরীরে বিশেষ করে মুখমণ্ডলে আঘাত করে রক্তাক্ত হয়েছে একাধিকবার।
একেবারে ছোটবেলা থেকেই সে এমনটি করছে। তাই বাধ্য হয়ে বাবা-মা একটি বাঁশের খাঁচা বানিয়ে তার ভেতরে বেঁধে রাখছেন বেশকিছু দিন ধরে। দিনের বেলা সে খাঁচায় বন্দি জীবন কাটালেও রাতে ঘুমায় বাবা-মায়ের পাশে।
তাদের বাড়ি দিনাজপুর সদর উপজেলার ১০ নম্বর কমলপুর ইউনিয়নের জয়দেবপুর গ্রামে।
জানা গেছে, শিশুটির জন্মের ৯ মাসের মাথায় ‘সেরিব্রাল পলসি’ নামের তার এক ধরনের জটিল রোগ ধরা পড়ে।
দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শুভ মুখার্জী জানান, ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হলে শিশুটি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে।
কিন্তু এজন্য প্রয়োজন দুই লাখ টাকা। দরিদ্র বাবার পক্ষে এই টাকা জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে নিজের একমাত্র সন্তানকে খাঁচাবন্দি করে রেখেছেন বলে একটি জাতীয় দৈনিকের খবরে বলা হয়েছে।
নুরে জান্নাতের বাবা সিদ্দিক আলী বলেন, ‘দুই লাখ টাকা জোগাড়ও করতে পারছি না তাই মেয়ের চিকিৎসাও হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে বাঁশের খাঁচা বানিয়েছি’।