বাংলাদেশের প্রথম অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র ‘টুমরো’। ২ বছর আগে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকে দেখা যাচ্ছে ইউটিউবে। টেলিভিশন চ্যানেল দীপ্তর জন্য নির্মিত ছবিটি মুক্তির পর থেকেই দেশ-বিদেশে বেশ প্রশংসিত হয়। তাই এবার এটি ইংরেজিতে রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি ফ্রেঞ্চ, মালয় ও ডাচ ভাষায়ও এটি ডাব করার ইচ্ছে তাদের।
দীপ্ত টিভি সূত্রে জানা যায়, শিগগিরই এটি ইংরেজিতে রূপান্তর করা হবে। এখন চলছে ভয়েস আর্টিস্ট নির্বাচন প্রক্রিয়া। চলতি বছরেই নতুনরূপে আসার কথা আলোচিত এই অ্যানিমেশন ফিল্ম।
২৫ মিনিটের এ স্বল্পদৈর্ঘ্যটি নির্মাণ করেছেন মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন। এতে তুলে ধরা হয়েছে বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব।
নির্মাতা শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘সিনেমাটি নিয়ে প্রতিনিয়ত ইতিবাচক রেসপন্স পাচ্ছি। যা আমরা ভাবতেও পারিনি। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কীভাবে ঝুঁকির মধ্যে পড়বে এবং প্রকৃতি ধ্বংসের মুখোমুখি হবে, তা তুলে ধরার পরিকল্পনা ছিল আমাদের। সিনেমাটি ৪ ভাষায় রূপান্তরের পরিকল্পনা আমাদের। তবে শুরুতে ইংরেজিতে ডাব করা হচ্ছে।’
এতে দেখা যায়, বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাবে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে তলিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশসহ আরও অনেক দেশ; ভবিষ্যতের পৃথিবী হবে খুব ভয়ঙ্কর। সেই ভয়ঙ্কর ভবিষ্যৎকেই রাতুল নামের এক শিশু দেখে ফেলে অতিপ্রাকৃত চরিত্র ‘বাতাসের বুড়ো’র মাধ্যমে। যে রাতুল এতদিন প্রকৃতিকে উপেক্ষা করে গেছে সেই রাতুলই এবার দায়িত্ব নেয় পৃথিবীর ভবিষ্যৎ বদলে দেওয়ার।
কাজী জাহিন হাসান এবং কাজী জিসান হাসানের প্রযোজনায় সিনেমাটির চিত্রনাট্য করেছেন যৌথভাবে নাসিমুল হাসান ও আহমেদ খান হীরক। প্রযোজনায় দীপ্ত টিভি। তৈরি হয়েছে সাইকোর স্টুডিওতে।
এনএ/রাতদিন