রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে জ্বর ও কাশি নিয়ে এক চীনা নাগরিক ভর্তি হয়েছেন। সম্ভাব্য নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত—এমন বিবেচনায় তাঁকে একটি বিশেষ কক্ষে রাখা হয়েছে। তবে এখনো তাঁর ভাইরাস পরীক্ষা হয়নি বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
ওই হাসপাতালের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে প্রথম আলো অনলাইনের খবরে বলা হয়, আজ সোমবার, ২৭ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটার দিকে ওই চীনা নাগরিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তাঁর জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট ধরা পড়ে। সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁকে বাতাসে ঋণাত্মক চাপ আছে—এমন একটি রুমে রাখা হয়েছে। এই রুমের বাতাস বাইরে যায় না।
ওই চীনা নাগরিক এ মাসের ১৮ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে ঢাকায় এসেছেন।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ওই রোগীর বিষয়ে শুনেছি। কিন্তু এখনো তাঁর লালার নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি।’
আজ বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এরই মধ্যে মৃত মানুষের সংখ্যা ৮০ ছুঁয়েছে। এ ছাড়া দেশটিতে এই ভাইরাসে প্রায় ৩ হাজার মানুষ সংক্রমিত হয়েছে।
দেশটির ন্যাশনাল হেলথ কমিশন আজ জানায়, করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হুবেই প্রদেশে মৃত মানুষের সংখ্যা ৫৬ থেকে বেড়ে ৭৬ হয়েছে। বাকি ৪ জন অন্যত্র মারা গেছে।
চীনের বাইরে ফ্রান্স, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, নেপাল, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ভিয়েতনামে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত করা গেছে। চীনের বাইরে সারা বিশ্বে ২ হাজারের বেশি মানুষ এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হচ্ছে।
এবি/রাতদিন