তিস্তা চুক্তির বিষয়ে আবারো শুধু আশ্বাসের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। এছাড়া রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে সহায়তা অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন ভারতের সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় দুই দেশের মধ্যে বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি। আলোচনা ফলপ্রসূ বলে মনে করছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। দ্বিতীয় মেয়াদে মোদি সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম বাংলাদেশ সফর এটি।
এর আগে আজ মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে জয়শঙ্করকে অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিবসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এখন বেশ নিবিড়। দেনা পাওনার খাতায় তালিকাটাও বেশ লম্বা। যোগাযোগ, জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন ক্ষেত্র। তাই নামে শুভেচ্ছা সফর হলেও এ বৈঠকে প্রত্যাশা বেশ, আলোচনার টেবিলেও অনেক কিছু।
ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা শেষে দুই মন্ত্রী যখন সংবাদ সম্মেলনে, তখন দুই দেশের সম্পর্কের ইতিবাচক দিকগুলোর পাশাপাশি তারা কথা বলেন রোহিঙ্গা ইস্যুতেও।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেন, অনেকগুলো ইস্যু নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। এ আলোচনা নিয়ে আমরা খুশি।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক দক্ষিণ এশিয়ার রোল মডেল। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন বিষয়ে আমরা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে সহায়তা অব্যাহত রেখেছি।
তবে বরাবরের মতোই অপেক্ষা তিস্তা চুক্তি বিষয়ে সুখবরের। এ ইস্যুতে সুনির্দিষ্ট কোন বক্তব্য পাওয়া না গেলেও নিজেদের দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষায় তার সরকারের অনড় থাকার কথা জানান জয়শঙ্কর।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। এ বিষয়ে কোন পরিবর্তন হবে না।
এর আগে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি পরিদর্শন করেন এস জয়শঙ্কর। এ সময় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
এবি/রাতদিন