যুদ্ধের আবহে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। ক্ষমতাসীন তৃণমুল রাজ্যের ৪২টি আসনে জেতার লক্ষ্যে যে মুহুর্তে নিজেদেরকে সংগঠিত করতে ব্যস্ত ঠিক সেসময়েই ঘটলো এমন এক ঘটনা যা তৃণমুল শিবিরের শক্তি হ্রাসের ইংগিত বহন করছে।
সামনে নির্বাচন, লড়তে হবে, জিততে হবে, শক্তিবৃদ্ধি ঘটাতে হবে। তাই কমবেশি সবদলই একে অপরকে চমক দিতে ব্যাস্ত। আর এই চমকের ব্যাস্ততার মধ্যেই নিশীথ প্রামানিক যোগ দিলেন বিজেপিতে।
নিশীথ প্রামানিক সেই রাজনীতিক, যার ‘রাজনৈতিক কারিশমা’ গৌতম দেব, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, উদয়ন গুহদের টক্কর দিতে পারে।
রাজনৈতিক সুত্রগুলো বলছে, এই নিশীথের সাংগঠনিক দক্ষতা এবং ‘ক্লিন’ ইমেজের সাথে বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে টক্কর দিতে পারেন নি তারই একদা সহকর্মী তথা বন্ধু তৃণমূলের যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিশীথ প্রামানিকের রাজনৈতিক দক্ষতার সামনে কোচবিহার জেলা জুড়ে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে ব্র্যাণ্ড মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখও!
বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোচবিহার জেলা জুড়ে ৩৫০ টিরও বেশি আসনে নির্দলীয় প্রার্থীদের জিতিয়ে আনেন নিশীথ! সুতরাং এই নিশীথ যেদিকে, কোচবিহারের বড় অংশের ভোটার সেই দিকে তা বলাই বাহুল্য। যখন তৃণমূল থেকে ‘যুবনেতা’ নিশীথ প্রামাণিক কে বহিষ্কার করা হয় তখন তৃণমূলের ইতিহাসে সম্ভবত প্রথম এবং শেষবার এমন ঘটনা ঘটে যা দেখে চমকে গিয়েছিল কোচবিহার, খবর পৌঁছেছিল কালীঘাটেও।এমনটিই জানিয়েছে ওই সুত্র।
এই মুহুর্তে নিশীথ প্রামানিকের মত যুব নেতাকে দলে যোগদান করানোর বিষয়টিকে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে বিজেপির সব থেকে বড় সাফল্য বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকগন।
কোচবিহারের একাধিক সূত্র জানাচ্ছে, তৃণমূল নিশীথ কে শুধুমাত্র কোচবিহারেই ব্যবহার করেছেন এর বাইরে ব্যাবহার করেনি, কিন্তু বিজেপি যদি তাঁকে সেই সুযোগ দেয় তাহলে বিজেপি-র পক্ষ থেকে রাজ্যের রাজনীতির বড় নিয়ামক হয়ে ওঠার যোগ্যতা রাখেন তিনি।
সেটি অনেক পরের ব্যাপার হলেও আপাতত দেখার বিষয়, বিজেপির ট্রাম্পকার্ড নিশীথ লোকসভায় কি ম্যাজিক দেখান?