মদ থেকে শুরু করে বিড়ি-সিগারেট। সবই প্রয়োজন হতো প্রতিদিন। অনেকে বিভিন্ন সময়ে নিষেধও করেছিলেন। কিন্তু কারোও কথাই কানে নেননি নীপা। নেশা দ্রব্য না পেলে ছটফট শুরু করতেন। ফলে বাধ্য হয়ে বাড়ির লোকজন তার হাতে তুলে দিতেন মাদক। তবে সম্প্রতি নেশা না পেয়ে আত্নহত্যা করেছেন তিনি।
এ ঘটনায় তার স্বামী বাপ্পা দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই দম্পতির ঘরে মাস চারেকের একটি মেয়ে আছে। তাদের বাড়ি ভারতের পশ্চিবঙ্গ রাজ্যের বালুরঘাট জেলায়। ঘটনার দিন স্বামীর কাছে মদ চেয়ে পায়নি। আর তাই অভিমানে সে আত্নহত্যা করেছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে।
রত্না বিশ্বাস নামের এক প্রতিবেশী ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই গৃহবধূ প্রতিদিনই স্বামীর কাছে নেশাদ্রব্য চাইতেন। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝগড়াও হয়েছিল বারবার। এসব নিয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতে সালিশিও হয়েছে।
স্বামী-স্ত্রীর মেধ্যে বারবার ঝগড়ার কারণ সম্পর্কে আরেক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। আর এ কারণই মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন নীপা। ফলে নেশার কারণে দাম্পত্য কলহ যায় বেড়ে।
নীপার মা সবিতা দাস সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘ঘটনার দিন তার মেয়ে তাকে ফোন করে বলেছিল ‘তোমরা তো আমাকে বিয়ে দিয়েই বেঁচে গেছো। তোমরা আমাকে কী দেখে বিয়ে দিয়েছিলে।’
ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে স্থানীয় কুশমণ্ডি থানা।
আরই/১৩.০১.১৯