হারাগাছ পৌরসভা সংলগ্ন মাঠ খেলার জন্য উপযোগী করে তোলার উদ্যোগ গ্রহন করেছেন পৌরসভার নব নির্বাচিত মেয়র এরশাদুল হক এরশাদ। সকল জল্পনা, কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দায়িত্ব গ্রহনের অব্যবহিত পরেই এই যুগান্তকারী উদ্যোগটি গ্রহন করলেন তিনি।
হারাগাছ পৌরসভায় কোমলমতি শিশু ও কিশোরদের খেলাধুলা কিংবা প্রকৃতি প্রেমিদের বিনোদনের জন্য উম্মুক্ত কোন মাঠ ছিলো না। হারাগাছ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভিতরে খেলার মাঠ থাকলেও সেটি ঈদগাহ মাঠ বলে খেলাধুলায় নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়।
জয়বাংলা বাজারে মাঠ থাকলেও সেটি ইউনিয়ন পরিষদের আওতাভুক্ত।
পৌরসভার সামনে একটি মাঠ হারাগাছের তৎকালীন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ও ক্রীড়ানুরাগী মোবারক আলী মিয়ার ব্যক্তিগত সম্পত্তি। নিজ নামীয় এই জমিটি তিনি খেলাধুলার মাঠ হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন।
দীর্ঘদিন পর মোবারক আলী মিয়া এই মাঠটিকে হাজী সমিতির কাছে বিক্রি করেন। হাজি সমিতি মাঠটিকে কবরস্থান হিসেবে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিলে জনগণের চাপে তা বন্ধ হয়ে যায়।
পরবর্তীতে দরদী স্কুল এমপিও ভুক্ত করার জন্য জমির প্রয়োজন হলে হাজী সমিতির কাছ থেকে এই জমি কেনে স্কুল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে হারাগাছ পৌরসভার এই মাঠটি ‘পাবলিক’ মাঠ হিসাবে পরিচিত। অথচ দীর্ঘদিন থেকে অবহেলা অযত্নে পড়েছিলো এই মাঠটি। এক পযায়ে পৌরসভার যাবতীয় বর্জ রাখার স্থান হিসাবে এই মাঠটি ব্যবহৃত হচ্ছিলো।
নব নির্বাচিত পৌর মেয়র এরশাদুল হক এরশাদ সকল প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে হারাগাছবাসীর বিনোদন ও শিশুকিশোরদের খেলাধুলায় মনোযোগী করে তোলার জন্য মাঠটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন।
এ প্রসঙ্গে পৌর মেয়র এরশাদুল হক এরশাদ জানান, স্কুলের এই মাঠটি সংস্কার করা হলে এটি পৌরসভার সৌন্দয বৃদ্ধি করবে। এতে শিক্ষার্থীরা যেমন খেলাধুলা করতে পারবে, পাশাপাশি পৌরবাসীও খেলাধুলা ও বিনোদনের একটি উম্মুক্ত জায়গা পাবে।
তার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে হারাগাছ পৌরসভার সকল শ্রেণীপেশার মানুষ।