দিনাজপুরের সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইসমাইল হোসেনের ছেলে নুর ইসলাম অবশেষে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন । এছাড়াও ইতোপূর্বে বাতিল হয়ে যাওয়া সরকারি পরিত্যাক্ত বাড়িতে পরিবার নিয়ে উঠেছেন তিনি।
দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের গাড়িচালক পদে নুর ইসলামের যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শিবেশ সরকার।
এর আগে গত ২৮ অক্টোবর জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ইসমাইল হোসেনের কবর জিয়ারত করেন। এ সময় তার ছেলে নুর ইসলামকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে চাকরি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।
হুইপ বলেন প্রধানমন্ত্রী দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজকে একটি জিপ দিয়েছেন। সেই জিপ চালাবেন নুর ইসলাম।
গত ৩১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর দেয়া জিপ গাড়িটি দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে এসে পৌঁছায়। হুইপের দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুয়ায়ী ১ নভেম্বর নুর ইসলামকে গাড়িচালকের চাকরি দেয়া হয়।
রোববার, ৩ নভেম্বর দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে গিয়ে দেখা যায় নুর ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর দেয়া জিপ চালাচ্ছেন।
নুর ইসলাম বলেন, চাকরি ফিরে পেয়েছি এটা আমার জন্য যেমন আনন্দের তেমনি, বেদনারও। আমার বাবার প্রতি প্রশাসনের অবহেলা এবং আমার মায়ের সঙ্গে প্রশাসনের যে আচরণ তা কোনোভাবেই ভুলতে পারছি না।
তিনি আরো বলেন, আমার জন্য মৃত্যুর পরও বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধার সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘গার্ড অব অনার’ তার শেষ যাত্রার কফিনে গ্রহণ করেননি।
মাকে বৃদ্ধ বয়সে অপমানিত, লাঞ্ছিত ও পায়ে আঘাত পেতে হয়েছে। আমি এই ঘটনারও সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করছি। যাতে আর কোনো মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারকে এই পরিণতির শিকার হতে না হয়।
এ সময় তিনি হুইপ ইকবালুর রহিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, বাবা বেঁচে থাকলে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে হুইপকে স্যালুট জানাতেন। বাবা মরেও আমার চাকরিটা নিশ্চিত করে গেছেন। এ জন্য আমি বাবা, হুইপ ও আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
প্রসঙ্গত : এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা অবস্থায় হুইপ ইকবালুর রহিম বরাবর একটি চিঠি লেখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন।
গত ২৩ অক্টোবর দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একবুক অভিমান নিয়ে ইন্তেকাল করেন মো. ইসমাইল হোসেন।
এন এ /রাতদিন