দিনাজপুরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় আগামী ১৪ দিন বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহারের বিশেষ কার্যক্রম নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ জন্য মাঠে নামছে ভ্রাম্যমাণ আদালত, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসন।
দিনাজপুর সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৯৮০ জন। যার মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ৪২ জন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৫ দিনে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি জেলা সদরে। ১৩টি উপজেলার মধ্যে শুধু সদর উপজেলাতেই আক্রান্ত হয়েছে ৮৮৪ জন ও মৃত্যুবরণ করেছে ১২ জন।
এই অবস্থায় গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহারের কার্যক্রমের প্রচারণার অংশ হিসেবে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছে প্রশাসনের কর্মকর্তারা। যেখানেই যারা মাস্ক ব্যবহার করছেন না, তাদের মাস্ক ব্যবহারে বাধ্য করা হয়। সেই সঙ্গে করোনার ব্যাপারে যাতে জনগণ সচেতন হয়, সেজন্য সচেতনতা কার্যক্রমও চালাচ্ছেন তারা। এর আগে বৃহস্পতিবার করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
শুক্রবার সকালে দিনাজপুর গোড়-এ শহীদ মাঠ, মিশন রোড, সিএন্ডবি মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় পায়ে হেঁটে অভিযান চালান দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম। এসময় তিনি রাস্তায় চলাচলকারী মোটরসাইকেল চালক, সাইকেল চালক, রিকশা চালক ও যাত্রী সাধারণদের মাস্ক না থাকলে তাদের থামিয়ে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ প্রদান করেন। যারা মাস্ক ব্যবহার করছেন না, তাদের যানবাহন আটকিয়ে মাস্ক নিয়ে আসতে বাধ্য করা হয়।
এর আগে করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব ঠেকাতে ৪ জুলাই দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরসহ হাকিমপুর উপজেলায় ‘নো মাস্ক নো সেল’ কর্মসূচি শুরু করা হয়। এই কার্যক্রমের ফলে ওই উপজেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কমে যায়।
এবি/রাতদিন