হাতীবান্ধায় আলোচিত স্কুলছাত্রী ধর্ষণের এজাহারভুক্ত প্রধান আসামী জাহেদুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে, গত বৃহষ্পতিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ধর্ষণের অভিযোগে দুজনের নাম উল্লেখ করে হাতীবান্ধা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন, জাহেদুল (১৬) ও তার খালাতো ভাই আয়নাল (২৮) । মামলা দায়েরের পর ওই রাতেই জাহেদুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
হাতীবান্ধা থানার ওসি ওমর ফারুক জানান, অপর আসামী আয়নালকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যহত আছে।
বিস্তারিত জানতে পড়তে পারেন নিচের অংশটি :
আয়নাল হকের বাড়ি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার গেন্দুকুড়ি গ্রামে। ২৮ বছর বয়সী বিবাহীত এ ব্যক্তি দিন দুয়েক আগে গিয়েছিলেন তার খালার বাড়ি। ওই বাড়িতে আয়োজিত একটি মাহফিলে যোগ দিতে।
তার খালার বাড়ি একই উপজেলার দোয়ানী এলাকার একটি গ্রামে।
মাহফিল শেষে সবাই চলে গেলেও সেখানে থেকে যায় আয়নাল। আর বুধবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর তার খালাতো ভাইকে সাথে নিয়ে ধর্ষণ করে ১১ বছর বয়সী এক শিশুকে। শিশুটি একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
জাহেদুল ইসলাম নামের আয়নালের খালাতো ভাইয়ের বয়স ১৬ । বছর। তার বাবার নাম হোসেন ফকির।
ধর্ষণের শিকার পরিবারটির একাধিক সদস্য এসব অভিযোগ করেছে।
পরিবারটি জানায়, বুধবার সন্ধ্যার পর বাড়ির পাশের দোকান থেকে বাজার করে বাড়ি আসছিল শিশুটি। এসময় ওই দুই ভাই মিলে প্রথমে তার পথ আটকায়। পরে একটি বাঁধের পাশে নিয়ে গিয়ে মুখ চেপে ধরে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় আয়নাল ও জাহেদুল।
পরে মেয়েটির চিৎকারে প্রতিবেশি ও পরিবারের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এরপর রাতেই তাকে পাঠানো হয় লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে।
ওই শিশুর এক মামা বৃহস্পতিবার বিকেলে হাসপাতাল থেকে ফেরার সময় মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমার ভাগ্নি বেশ অসুস্থ। সুস্থ হতে কয়েকদিন লেগে যাবে আর এসময় তাকে হাসপাতালেই থাকতে হবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।’
ধর্ষণের শিকার ওই মেয়েটিকে প্রথমে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরবর্তীতে তাকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, মেয়েটি সুস্থ আছে, তবে তার স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগবে।
আরআই/রাতদিন.নিউজ