দেশের মোট খেলাপি ঋণের অর্ধেকই ৬ রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর দেশে মোট খেলাপী ঋণের পরিমান ছিলো প্রায় ৯৪ হাজার কোটি টাকা। আগের বছরের তুলনায় এর পরিমান বেড়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ব ৬ ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমান ছিল ৪৮ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা। যা দেশের মোট খেলাপি ঋণের অর্ধেকেরও বেশী।

২০১৮ সালের ডিসেম্বর প্রান্তিকের খেলাপি ঋণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত সবশেষ প্রতিবেদনে খেলাপি ঋণের এরকম চিত্রই তুলে ধরা হয়েছে।

রাষ্টীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে এসময় সবচেয়ে বেশী খেলাপি ঋণ ছিল জনতা ব্যাংকের। ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের পরিমান ১৬ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এর পরেই রয়েছে সোনালী ব্যাংক। এই ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের পরিমান ১১ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা।

প্রতিবেদনের তথ্যমতে, বেসিক ব্যাংকের ৯ হাজার ৩৪৪ কোটি, অগ্রণী ব্যাকের ৫ হাজার ৯৬৩ কোটি, রূপালী ব্যাংকের ৪ হাজার ১১৬ কোটি ও বিডিবিএলের ৮৪৮ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি রয়েছে।

দেশের শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপিঃ

গেল বছরের ডিসেম্বরে দেশে মোট খেলাপি ঋণ গ্রহীতার সংখ্যা ছিলো দুই লাখ ৬৬ হাজার ১১৮ জন। দেশের শীর্ষস্থানীয় ২০ ঋণ খেলাপির মধ্যে রয়েছে- কোয়ান্টাম পাওয়ার সিস্টেম লি., সামানাজ সুপার অয়েল লি., বি আর শিপিং মিলস, সুপ্রভ ফুটওয়ার, রাইজিং স্টিল, কম্পিউটার সোর্স লি. এর মতো প্রতিষ্ঠানের নাম।

তালিকায় আরো রয়েছে- হাজার বিনিটেপ ইন্ডাস্ট্রিজ, ম্যাপ শিপিং মিলস, এসএ অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড, রুবিয়া ভেজিটেবল অয়েল, আনোয়ারা শিপিং মিল, ক্রিসেন্ট লেদার মিলস, সুপ্রভ রোটর শিপিং, ইয়াসির এন্টারপ্রাইজ। তালিকার শেষদিকে রয়েছে- চৌধুরী নিটওয়ারস, সিদ্দিক ট্রেডার্স, রুপালী কম্পোজিট লেদার ওয়্যার, অ্যালপা কম্পোজিট টাওয়েলস এবং এমএম ভেজিটেবল অয়েল প্রডাক্টস লিমিটেড।

এর আগে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এই তালিকায় অন্তর্ভূক্তির যোগ্য কিছু প্রতিষ্ঠানের নাম হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। সুত্র: দৈনিক সমকাল ও বালানিউজ ২৪।

আরআই/রাতদিন