ধর্ষণ মামলায় আদালতে বিয়ে, জামিন দিয়ে মিষ্টি খাওয়ালেন বিচারক

আবারো আদালতে ধর্ষণ মামলার আসামি,  ভুক্তভোগী তরুণীকে বিয়ের মাধ্যমে জামিন পেয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে  ঝালকাঠির আদালতের এজলাস কক্ষে।

আজ রোববার, ২০ ডিসেম্বর ঝালকাঠির অবকাশকালীন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১–এর বিচারক মো. শহিদুল্লাহর আদালতে এ রায় দেন।  বিয়ে শেষে উপস্থিত সবাইকে মিষ্টিমুখ করান এই বিচারক।

ধর্ষণ মামলার আসামি নাঈম সরদার (২২)বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তিনি পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান।   ভুক্তভোগী তরুণী (১৮)ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাসিন্দা।

বিয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আবদুল মান্নান।  তিনি বলেন, বিচারকের নির্দেশে দুই পক্ষের অভিভাবকদের উপস্থিতে বিয়ে পড়ানো হয়।  পরে বিচারক আসামির জামিন মঞ্জুর করা হয়।

তিনি মামলা বিষয়ে বলেন,  ২০১৯ সালের শুরুর দিকে মুঠোফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে নাঈম ও ওই তরুণীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।  গত ২৩ সেপ্টেম্বর নাঈম ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন অভিযোগে গত ৮ নভেম্বর একটি নালিশি মামলা হয়।  বিচারক মো. শহিদুল্লাহ ধর্ষনের শিকার তরুণীর অভিযোগ ঝালকাঠি থানায় এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন। ১২ নভেম্বর ঝালকাঠি থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়।

তিনি আরো বলেন, এরপর মামলার একমাত্র আসামি নাঈমকে তাঁর বাবা আনোয়ার হোসেন ১৩ নভেম্বর ঝালকাঠি থানায় তুলে দেয়।  মামলার এসআই মো. নাজমুজ্জামান আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়।

আজ  শুনানির সময় আসামি ওই তরুণীকে বিয়ে করার আগ্রহ প্রকাশ করে।  এই প্রস্তাবে তরুণীর পরিবার রাজি হয়। এরপর বিচারক মো. শহিদুল্লাহ আদালতের এজলাস কক্ষে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ের নির্দেশ দেন।  বিয়ের পর আদালতে কাগজপত্র জমা দিলে শুনানি শেষে ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

আরআই/রাতদিন