নেইমারের জোড়া গোল, হেরে গেল ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেড

চ্যাম্পিয়নস লিগের হাইভোল্টেজ ম্যাচ। ম্যাচও প্রায় শেষের পথে। এসময়ই ঘুরে দাড়াল পিএসজি। নেইমারের জোড়া গোলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৩-১ ব্যবধানে হারাল টমাস টুখেলের শিষ্যরা।

বুধবার, ২ নভেম্বর রাতে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে নেইমারের গোলের পর ম্যানইউর হয়ে সমতা টানেন মার্কাস র‌্যাশফোর্ড। মার্কিনিয়োস এগিয়ে নেওয়ার পর শেষ দিকে ব্যবধান আরও বাড়ান লিগ ওয়ানের দলটির সবচেয়ে বড় তারকা নেইমার।

একইসঙ্গে আসরটির নকআউট পর্বে ওঠার সম্ভাবনা জোরাল করল ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।

এর আগে গত অক্টোবরে ইউনাইটেডের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে আসর শুরু করেছিল গতবারের রানার্সআপরা।

এদিন ম্যাচে ষষ্ঠ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পের শটে বল প্রতিপক্ষের একজনের পায়ে লেগে চলে যায় ছয় গজ বক্সের ডান দিকে, সেখানে দুরূহ কোণ থেকে জোরালো শটে গোলটি করেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার নেইমার।

খেলার ৩২তম মিনিটে সৌভাগ্যসূচক গোলে সমতায় ফেরে ইউনাইটেড। অঁতনি মার্সিয়ালের শট পিএসজি গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে ঠেকানোর পর এক সতীর্থের পা ঘুরে ডি-বক্সের মুখ থেকে জোরালো শট নেন র‌্যাশফোর্ড। বল ডিফেন্ডার দানিলোর পায়ে লেগে কিছুটা দিক পাল্টে পোস্ট ঘেঁষে জালে জড়ায়।

বিরতির পর ৬৯তম মিনিটে মার্কিনিয়োস গোল করেন। ডান দিক থেকে আবদু দিয়ালোর পাস ছোট ডি-বক্সের মুখে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে টোকা দিয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি।

৭০তম মিনিটেই রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে ১০ জনের দলে নেমে আসে ইউনাইটেড। আন্দের এররেরাকে ফাউল করায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন ফ্রেদ, যদিও স্লাইড ট্যাকলে বলে পা লাগিয়েছিলেন তিনি। এর আগে ২১তম মিনিটে লেয়ান্দ্রো পারেদেসের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মাঝে তাকে মাথা দিয়ে গুতো মেরে বসেন ইউনাইটেডের মিডফিল্ডার ফ্রেদ। ঘটনাটি কেন্দ্র দুই দলের খেলোয়াড়রা কিছুক্ষণের জন্য বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। পরে ভিএআরের সাহায্যে ফ্রেদকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি।

নির্ধারিত সময়ের শেষ পাঁচ মিনিটে চাপ বাড়ায় পিএসজি। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে সব অনিশ্চয়তার ইতি টানেন নেইমার। রাফিনিয়ার কাটব্যাক ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে অনায়াসে প্লেসিং শটে স্কোরলাইন ৩-১ করেন তিনি।

জেএম/রাতদিন