রংপুরে পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়নে ঈদ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আড়াই হাজার করে টাকা বিতরণে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পাকাবাড়ি আছে বা অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল এমন অনেকেই পেয়েছেন এই সহায়তা। আবার দরিদ্রদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে তাদের তালিকাভূক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তার জন্য নির্বাচিতদের তালিকা কলাণী ইউপি কার্যালয়ের নোটিশবোর্ডে না থাকায় দফায় দফায় ঘুরিয়ে অবশেষে তথ্য অধিকার আইনে আবেদনের কথা বলেন চেয়ারম্যান নূর আলম। পরে অবশ্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তালিকা ঝুলাতে বাধ্য হন।
চেয়ারমান নূর আলম বলেন, ‘ইউএনও বলার পর আমরা তালিকা টানিয়ে দিয়েছি’।
পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রধান জেসমিন বলেন, লিখিত আকারে নির্দেশনা দেয়া আছে। ৯টা ইউনিয়নের প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পরিষদে টাঙিয়ে দেয়া হবে।
কল্যাণী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূর আলম বলেন, আমাদেরকে যখন বলেছে, তখন আমরা টাঙিয়ে দিয়েছি।
তালিকা ধরে ৪ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ঘুরে ৭০৫-সিরিয়ালের রুস্তম, ৭২২-এর রহিম, ৭০৪-এর লিটন, ৭৩৬-এর বিজয়ের মিললো পাকাবাড়ি। ৭২১-এর সুরুজ বানু ও ৭৪৫-এর সালেহার সম্পর্ক মা ও মেয়ে। তিন ভাই নজরুল, নূরু ও আমিনুলের সিরিয়াল নম্বর যথাক্রমে ৩৫৯, ৩৬০ ও ৩৬১। এদের সবাই বিত্তশালী- কারও জমি আছে ৩০ বিঘা, কারও আছে ডেইরি ফার্ম।
তালিকায় দু-একজন গরীব থাকলেও তারা ৫শ টাকা করে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ করেছেন।
একজন ভুক্তভোগী জানান, মেম্বার আমার কাছ থেকে ৫শ টাকা নিয়েছেন, তারপর তালিকায় নাম এসেছে।
আরেকজন বলেন, মেম্বার বলেছে আমাদের টাকা দেবে কিন্তু ৫শ টাকা তাকে দিতে হবে।
চেয়ারম্যান-মেম্বার আর ত্রাণ কমিটির রেষারেষিতে বঞ্চিত হয়েছেন প্রকৃতরা।
জেলা প্রশাসক আসিব আহসান জানালেন, এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার নম্বরে টাকা দেয়া হলেও ভুল বা অসম্পূর্ণ তথ্যের কারণে যাচাই-বাছাই চলছে আরও এক লাখের।
তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে আমরা ৪০ হাজার অনুমোদন পেয়েছি। তারপরে আমাদের যাচাই-বাছাই করতে বলা হয়েছে।
এই প্রকল্পের নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি হলেও প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হলেও কাজই শুরু করেনি তদন্ত কমিটি। সূত্র: সময় টেলিভিশন
এবি/রাতদিন