সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় পেঁয়াজ চুরির অভিযোগে ফরহাদ মিয়া (২৫) নামে এক যুবককে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্বনাথ নতুন বাজারে এ ঘটনা ঘটে। বিশ্বনাথে ফরিদ মিয়ার কলোনিতে ভাড়ায় বসবাসকারী ফরহাদের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম থানার উছমানপুরে। তিনি ওই গ্রামের আবুল কাশেম ও মনোয়ারা বেগম দম্পতির বড় ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম মুসা বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় পেঁয়াজ চুরির অভিযোগে ফরহাদকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় হরিকলস গ্রামের বাসিন্দা ও বিশ্বনাথ পুরান বাজারের শাহজালাল স্টোরের মালিক আব্দুর রউফ (৫৫) এবং তার স্ত্রী রহিমা বেগমকে (৪২) গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার জেলহাজতে পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, বিশ্বনাথ নতুন বাজারে আব্দুর রউফের পরিচালিত শাহজালাল স্টোরে ৮ হাজার টাকা বেতনে চার বছর ধরে চাকরি করছেন ফরহাদ। সোমবার দুপুরে আব্দুর রউফের ছেলে রাজু দোকানে গিয়ে দেখেন পেঁয়াজ ও রসুন আলাদা একটি ব্যাগে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। লুকিয়ে রাখা ওই পেঁয়াজ নিয়ে ফরহাদ ও রাজুর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় রাজু তার সহপাঠীদের নিয়ে মোটরসাইকেলে করে ফরহাদকে বাড়ি নিয়ে মারধর করেন।
ওসি আরও বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফরহাদকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় রাজুকে না পেয়ে তার বাবা আব্দুর রউফ ও মা রহিমা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রাতে ফরহাদ বাদী হয়ে দোকান মালিক আব্দুর রউফকে প্রধান আসামি করে সাতজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মঙ্গলবার দুপুরে স্বামী-স্ত্রীকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
আটক আব্দুর রউফ ও তার স্ত্রী রহিমা বেগম বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে পেঁয়াজ, রসুন ও ক্যাশের টাকা চুরি করছিলেন ফরহাদ। এজন্য তাকে মারধর করা হয়।
তবে ছেলেকে নির্দোষ দাবি করে ফরহাদের মা মনোয়ারা বেগম বলেন, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে ফরহাদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।