খাইরুন্নেছা খালেদার (৪৭) শশুরবাড়ি দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি সীমান্তে। আর বাবার বাড়ি বগুড়া শহরের চেলোপাড়ায়। শ্বশুরবাড়ির এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে বাপের বাড়ি বগুড়ায় সরবরাহ করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে ওই নারী।
বগুড়ার ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট দুপুরে তাকে মাটিডালি বিমান মোড় থেকে ৩০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা হয়েছে।
ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম পলাশ সাংবাদিদের জানান, দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার নওনাপাড়া গ্রামের মরফিদুল ওরফে মহিদুল ইসলামের সঙ্গে খালেদার বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর খালেদা মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে প্রথম হাকিমপুর থানা পুলিশের অভিযানে মাদকসহ গ্রেপ্তার হন খালেদা। কিছুদিন জেলে থাকার পর জামিনে ছাড়া পান। এরপর তিনি কৌশল বদলিয়ে আবারো মাদক ব্যবসা শুরু করেন।
শফিকুল ইসলাম পলাশ জানান, স্বামীর বাড়ি এলাকায় বিক্রি না করে তিনি মাদক বগুড়ায় বাপের বাড়ি এলাকায় সরবরাহ করতে থাকেন। প্রতি মাসেই তার মাদকের চালান বগুড়ায় আসত। এ সব মাদক পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করতেন।
পুলিশ জানায়, খালেদাকে ধরতে অনেকদিন ধরে সোর্স লাগানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি বারবার কৌশল পরিবর্তন করায় বেঁচে যান।
তবে খালেদা বৃহস্পতিবার পুলিশের ফাঁদে পা দেন। কৌশলে তাকে মাটিডালি বিমান মোড়ে ডেকে আনা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে খালেদা দৌড় দেন। নারী পুলিশ তাকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে। তার কাছে ৩০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া গেছে। পরে তিনি তার মাদক ব্যবসার কৌশল পুলিশকে জানিয়েছেন।
এইচএ/রাতদিন