জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাঙালির চিরন্তন প্রেরণার উৎস উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, তার নীতি ও আদর্শ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সাহসী, ত্যাগী ও আদর্শবাদী নেতৃত্ব।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ঘোষিত মুজিববর্ষ উদযাপনে আজ মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ সন্ধ্যায় বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
আবদুল হামিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তার আদর্শ আমাদের চিরন্তন প্রেরণার উৎস। তার নীতি ও আদর্শ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সাহসী, ত্যাগী ও আদর্শবাদী নেতৃত্ব, এ প্রত্যাশা করি।
দেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধুর আজীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাঙালির মুক্তি ও অধিকার আদায়ে পরিচালিত প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন তিনি । এজন্য তাকে বহুবার কারাবরণ করতে হয়েছে। সহ্য করতে হয়েছে অমানুষিক নির্যাতন। কিন্তু বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে তিনি কখনো শাসকগোষ্ঠীর সাথে আপস করেননি।
‘রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু ছিলেন নীতি ও আদর্শের প্রতীক। বঙ্গবন্ধু রচিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’সহ তার ওপর লিখিত গ্রন্থ অধ্যয়ন করে নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানতে পারবে এবং তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আগামীতে জাতিগঠনে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশ ও জনগণের প্রতি জাতির পিতার যে অসামান্য অবদান, সেজন্যই বাংলা, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু আজ ‘এক ও অভিন্ন সত্তায়’ পরিণত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর বর্ণাঢ্য আয়োজন যথাযথ উৎসাহ ও উদ্দীপনার মাধ্যমে উদযাপনের জন্য দেশবাসী ও প্রবাসী বাঙালিদের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপ্রধান।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পাদনের মাধ্যমে দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করাই হোক মুজিববর্ষে সকলের অঙ্গীকার।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্ম নিয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। নিপীড়িত বাঙালির মুক্তি আন্দোলনের এ মহান নেতার হাত ধরেই ১৯৭১ সালে আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আজ ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপন শুরু করেছে বাংলাদেশ।
এবি/রাতদিন