দ্রুততম সময়ে চাহিদা অনুযায়ী লোকবল নিয়োগ দিয়ে রেলওয়ের সক্ষমতা বাড়ানো হবে উল্লেখ করে রেলপথমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘স্টেশন মাষ্টার সংকটে বন্ধ থাকা প্রায় ১০০ স্টেশন অচিরেই চালু করা হবে। এতে দেশের সাধারণ মানুষ রেলওয়েকে ব্যবহার করতে পারবেন’।
তিনি বলেন, ‘রেলওয়েকে পর্যায়ক্রমে মানুষের আকাঙখা পূরণের বাহন হিসেবে তৈরি করা হবে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এ বিভাগকে সচল করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে’।
পরিবহন হিসেবে রেলওয়েতে অনেক ঘাটতি রয়েছে স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে প্রথম রেলওয়ের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করেন। তিনি রেলওয়ের উন্নয়নেও বিশেষ নজর দিয়েছেন’।
রেলপথমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবারের মতো নিজের জেলা পঞ্চগড় সফরে এসে মঙ্গলবার, ২২ জানুয়ারি দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা বৃটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে ওয়াগন, কোচ তৈরিসহ রেলওয়ের যাবতীয় কাজের সক্ষমতা রয়েছে’।
রেলওয়ের জমি দখল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যারা রেলওয়ের জায়গা দখল করে রেখেছেন তা ফিরিয়ে দিয়ে রেলওয়েকে সহায়তা করুন’।
এসময় তিনি বিনা টিকিটে রেল ভ্রমণ না করারও আহবান জানান।
কারখানা পরিদর্শনের আগে সেখানে থাকা ‘অদম্য স্বাধীনতা’ স্তম্ভে পুস্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নূরুল ইসলাম সুজন। পরে তিনি রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদে সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শনকালে তাঁর সাথে ছিলেন নীলফামারী-৪ আসনের সাংসদ আহসান আদেলুর রহমান আদেল, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জেল হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) মো. সামসুজ্জমান, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক খন্দকার সহিদুল ইসলাম ও পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক মো. বেলাল হোসেন সরকার।
এছাড়া তাঁর এ সফরে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারীর জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার সিদ্দিকী তাঞ্জিলুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোখছেদুল মোমিন এবং সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন বাদল।
এইচএ/২২.০১.১৯