বরের বয়স ২১, কনের ১৭। দু’জনই বিয়ে দিতে এক বছর বাকি। মোটামুটি সব আয়োজন শেষে। কেবল বাকি কবুল পড়া। কিন্তু মোক্ষম সময়ে গিয়ে বাধ সাধলো পুলিশ। খবর পেয়ে হাজির হলো ভ্রাম্যমাণ আদালতও। তারপর যেই কথা, সেই কাজ। আইন ভেঙে অপরিণত বয়সে বিয়ে করতে যাওয়ায় বরের সাজা হলো ৬ মাসের। একই সাথে কাজীর ৩ মাসের কারাদন্ড।
বুধবার, ১৩ নভেম্বর রাতে ঘটনা ঘটেছে উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের মাদ্রাসাপাড়া গ্রামে।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের মাদ্রাসাপাড়া গ্রামের কাজী আবদুল আজিজ ও বর একই ইউনিয়নের সরকারপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আল আমিন (২১)।
ইউএনও আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে বুধবার রাতে উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের মাদ্রাসাপাড়া গ্রামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর (১৬) বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। খবর পেয়ে ইউএনও আবদুল্লাহ আল মামুন কয়েকজন পুলিশ নিয়ে মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন।
এ সময় কনের মা-বাবা পালিয়ে যান। তবে বিয়ের কাজী আবদুল আজিজ ও বর আল আমিনকে আটক করে পুলিশ। ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে কাজী ও বর তাদের অপরাধ স্বীকার করে নেন।
পরে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে বিবাহ নিবন্ধন বাতিল করাসহ কাজীকে তিন ও বরকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এনএইচ/রাতদিন