নিজ বসতবাড়ির সামনে বিক্রেতা আবদুল গফুরের মুদির দোকান থেকে পান ও সিগারেট কেনেন জাহাঙ্গীর আলম (২৬)। টাকা দিতে গেলে বিক্রেতা আবদুল গফুর ১২ টাকা দাবি করেন। জাহাঙ্গীর আলম ১০ টাকা দিতে চাইলে দোকানদার আবদুল গফুরের সঙ্গে এ নিয়ে হাতাহাতি হয়।
হাতাহাতির একপর্যায়ে মুদি দোকানের ভেতরে শোকেস আর গ্লাস ভেঙে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্রেতা আবদুল গফুর ভাঙা গ্লাস নিয়ে জাহাঙ্গীর আলমের বুকে আঘাত করলে ঘটনাস্থলে তিনি গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান জাহাঙ্গীর।
বৃহস্পতিবার, ১ আগষ্ট সন্ধ্যায় কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ধলঘাট ইউনিয়নের বেগুনবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জাহাঙ্গীর আলম বেগুনবুনিয়া গ্রামের আবদুল গফ্ফারের ছেলে। খবর পেয়ে রাত আটটার দিকে পুলিশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মুদি দোকানদার আবদুল গফুরকে (৩০) আটক করে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, জাহাঙ্গীর আলমকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে আটটায় পার্শ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে আজ শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, ঘাতক আবদুল গফুরকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা করা হয়নি, তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
জেএম/রাতদিন