বিশ্বে প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মিছিল বাড়ছে। করোনার ভয়াল থাবায় বিশ্বে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩২ লাখ ৭৩ হাজার ৭২০ জন। এই ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ১০ লাখ ৫৫৫ জন মানুষের।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চীনে নতুন করে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। ইতালি, স্পেন, জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত নতুন করে কিছুটা বাড়লেও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। দেশগুলোতে দিন দিন বাড়ছে সুস্থতার সংখ্যাও।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৩০ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে।
করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী দেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- যুক্তরাষ্ট্রে ২ লাখ ৫ হাজার ৩১ জন, ব্রাজিলে ১ লাখ ৪২ হাজার ৫৮ জন, ভারতে ৯৫ হাজার ৫৪২ জন, মেক্সিকোতে ৭৬ হাজার ৪৩০ জন, যুক্তরাজ্যে ৪২ হাজার ৯০ জন, ইতালিতে ৩৫ হাজার ৮৫১ জন, পেরুতে ৩২ হাজার ২৬৮ জন, ফ্রান্সে ৩১ হাজার ৭৪৪ জন ও স্পেনে ৩১ হাজার ৪৪১ জন।
আক্রান্তের দিক থেকে সবার শীর্ষে থাকা দেশ চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা কমেছে। গত কয়েকদিন ধরে দেশটিতে নতুন করে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। চীনে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ হাজার ৪৯১ জন, মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৭৩৯ জনের।
জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৫৫৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ১৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ লাখ ৭২ হাজার ৭৩ জন।
এদিকে ডব্লিউএইচওর জরুরী পরিস্থিতি প্রধান ডা. মাইক রায়ান বলেছেন, ‘ভ্যাকসিন পাওয়া ও এর ব্যাপক ব্যবহার হওয়ার আগে এবং মহামারীটি রোধে সম্মিলিত ব্যবস্থা না নিলে বিশ্বে করোনাভাইরাসের মৃত্যুর সংখ্যা দুই মিলিয়নে পৌঁছে যেতে পারে। যা অবশ্যই অকল্পনীয়’।
তিনি আরো বলেন, ‘তবে এটি অসম্ভব নয়। কারণ আমরা যদি নয় মাসের মধ্যে দশ মিলিয়ন লোককে হারাতে দেখেছি। সেই সাথে আমরা কেবল নয় মাসের মধ্যে একটি ভ্যাকসিন বের করার বাস্তবতাগুলো দেখেছি। এটি একটি বড় কাজ’।
উল্লেখ্য, নতুন এই ভাইরাস মূলত ফুসফুসে বড় ধরনের সংক্রমণ ঘটায়। জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত প্রধান লক্ষ্মণ। ভাইরাসটির জেনেটিক কোড বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এটি অনেকটাই সার্স ভাইরাসের মতো। এই ভাইরাস নিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে চলছে নানা তর্ক-বিতর্ক।
এনএ/রাতদিন