বিশ্বে প্রথমবারের মতো ফাইভজি চালু করেছে দক্ষিন কোরিয়া। প্রথম দেশ হিসাবে বুধবার, ৩ এপ্রিল স্থানীয় সময় রাত ১১টায় পঞ্চম প্রজন্মের এই ইন্টারনেট সেবা চালু করলো দেশটি।
‘বিশ্বে প্রথম’ ফাইভজি চালুর কৃতিত্ব নিজেদের করে রাখতে ঘোষিত সময়ের দুই দিন আগেই তারা এই সেবা চালু করলো। ঘোষণা অনুযায়ী আগামীকাল শুক্রবার দেশটিতে ফাইভজি চালু করার কথা ছিলো।
দক্ষিন কোরিয়ার এসকে টেলিকম, কেটি টেলিকম এবং এলজি ইউপ্লাস নামের তিনটি টেলিকম অপারেটর এই সেবা চালু করেছে। মোবাইল ইন্টারনেট হিসাবেও ফাইভজি ব্যবহার করা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে অপারেটরগুলো।
তবে মাত্র দুই ঘন্টার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের প্রথম ফাইভজি চালুর দাবীদার হতে পারলো না। ইয়ানহাপ সংবাদ সংস্থার বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়া ঘোষিত সময়ের আগে ফাইভজি চালু করায় মাত্র দু’ঘণ্টার জন্য প্রথম হতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র।
দক্ষিন কোরিয়ার দু’ঘন্টা পরে বুধবার রাতেই যুক্তরাষ্ট্র চালু করে ফাইভজি।দেশটির শিকাগো এবং মিনিয়াপলিস অঞ্চলে তা চালু করে দেশটির মোবাইল অপারেটর ভেরিজন।
ইয়ানহাপ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মোবাইল ক্যারিয়ার ভেরিজন দক্ষিণ কোরিয়ার আগেই ফাইভজি চালু করতে চেয়েছিল। তাই তাদের সম্ভাব্য সময়ের এক সপ্তাহ আগেই গতকাল রাতে ফাইভজি চালু করে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সেটা আর কোরিয়ার আগে করতে পারেনি।
তবে বুধবার চালু হলেও দক্ষিন কোরিয়ার সাধারণ গ্রাহকরা শুক্রবার থেকে দেশটিতে ফাইভজি ব্যবহার করতে পারবেন। সেদিনই স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক দেশটিতে ফাইভজি স্মার্টফোন গ্যালাক্সি ১০এস উন্মোচন করবে।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে ফাইভজি চালু করলেও সেটি সাধারণরা এখনি ব্যবহার করতে পারছেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফাইভজি চালুর মাধ্যমে এখন গ্রাহকরা ফোরজির চেয়ে ২০ গুন বেশি ক্ষমতায় ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ জুলাই বাংলাদেশের হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘বাংলাদেশ ৫জি সামিটে’ ৫জির পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালানো হয়। সফল এই কার্যক্রমে গতি ওঠে ৪ দশমিক ১৭ জিবিপিএস (গিগাবাইট পার সেকেন্ড)। এ পরীক্ষায় প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয় হুয়াওয়ে।