চীনের বাইরে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। এতে আন্তর্জাতিক মহলে চরম উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে।
চিনে করোনা ভা্নইরাসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নতুন এই ভাইরাসে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সামনে এসেছে আশ্চর্যজনক এক তথ্য। চীনের দুই প্রজাতির সাপ থেকেই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে প্রকাশিত হয়েছে একটি প্রতিবেদন। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীনসহ বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার মূল উৎসই হচ্ছে বিষধর চীনা সাপ ক্রেইট এবং কোবরা সাপ।
করোনা ভাইরাস বাতাসে মিশে প্রাথমিকভাবে স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং পাখির শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ করে। এর ফলে প্রাথমিকভাবে জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট উপসর্গ হিসেবে দেখা দেয়। এর আগে ২০১৯ সালে চীনের হুয়ান শহরে প্রথম করোনা ভাইরাসের বিষয়টি সামনে আসে। যা খুবই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।তবে এবারের পরিস্থিতি ভয়াবহ।
এই পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠকও করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’র (WHO) বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি। চীনা ভাইরাসের বিস্তারের জেরে বিশ্বে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা জারির মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কিনা, সে বিষয়েও শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত দশকে মাত্র পাঁচবার বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জরুরি মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল।
চীনা ভাইরাসের বিস্তার যে উদ্বেগজনক, তা স্বীকার করে নিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাসচিব তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস। উদ্ভূত পরিস্থিতিকে জটিল এবং উদ্বেগজনক আখ্যা দিয়েছেন তিনি। বুধবার সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘এই বিষয়ে আমি খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। সমস্ত তথ্যপ্রমাণ যাচাই করে পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
কীভাবে এই করোনা ভাইরাস মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ল, WHO চীনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তার তদন্ত করে দেখছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। (সুত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন)
্রএসকে/রাতদিন