সাম্প্রতিক কালে ভারতে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। কংগ্রেসের এক নেতা ওই ভিডিও টুইট করেন। এতে দেখা যায়, পেঁয়াজের দাম না পেয়ে এক কৃষক হাউ মাউ করে কাঁদছেন। খেতমজুরদের কিভাবে পারিশ্রমিক দেবেন, পরিবারকেই বা খাওয়াবেন কী, কাঁদতে কাঁদতে সেই প্রশ্নই বার বার শোনা যাচ্ছিল মহারাষ্ট্রের ওই চাষির মুখে। ওই ভিডিও থেকে জানা যায়, জমিতে পেঁয়াজ ফলিয়ে মহারাষ্ট্রের ওই চাষি বাজারে কেজি প্রতি দাম পেয়েছেন মাত্র ৮ টাকা!
হ্যাঁ, ৮ টাকা। মহারাষ্ট্রের চাষিরা পেঁয়াজের দাম পাচ্ছেন কেজি প্রতি মাত্র ৮ টাকা। ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার এক রিপোর্টে এমনটাই বলা হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, চাষির কাছ থেকে ৮ টাকা দরে বিক্রি হওয়ার পর ওই পেঁয়াজ কয়েক হাত ঘুরে পাইকারি বাজারে আসে। সেই বাজারে পেঁয়াজ কেজি প্রতি কোথাও ৬০, কোথাও বা ৬৫ টাকা। অর্থাৎ চাষি এবং পাইকার দু’জনের মাঝে যে সব হাত ঘুরছে পেঁয়াজ, সেখানেই প্রায় ৫০-৫৫ টাকার ফারাক তৈরি হয়ে যাচ্ছে।
আর এই পেঁয়াজ যখন খুচরো বাজারে যাচ্ছে সেখানে ক্রেতাকে দিতে হচ্ছে কেজি প্রতি ১১০ থেকে ১২০ টাকা! অর্থাৎ চাষি এবং খুচরো ক্রেতার মধ্যে পেঁয়াজ বেচা-কেনার দামের ফারাকটা কোথাও ১০০ টাকা, কোথাও বা তার চেয়েও বেশি!
চাষির হাত থেকে পাইকারী বাজারে আসতে পেঁয়াজ কয়েকবার হাতবদল হলেও দাম বাড়ছে ৫০-৫৫ টাকা। আর পাইকার থেকে খুচরা বিক্রেতা এই একবার হাতবদলেই দাম বাড়ছে ৬০-৬৫ টাকা।
অর্থাৎ খুচরা বিক্রেতারা লাভ করছেন ১০০ শতাংশ আর কৃষক মাথায় হাত দিয়ে কাঁদছেন!
ব্যবসায়ীদের দাবি, এই সময় পেঁয়াজের দাম হওয়া উচিত কেজি প্রতি ১০ থেকে ১২ টাকা। কিন্তু এ বছর পেঁয়াজের জোগান কম বলে পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। আর সেই পেঁয়াজই খুচরো বাজারে কেজি প্রতি ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অবশ্য তারা বলছেন, সরবরাহ বাড়লেই কমে যাবে পেঁয়াজের দাম।