করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতা মূল্যায়ন ও তুলনার জন্য বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক ‘কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস’ (সিইপিআই) কর্তৃক নির্বাচিত পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তালিকাভুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক উদারাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআর,বি)।
শুক্রবার পাঁচটি ক্লিনিক্যাল নমুনা পরীক্ষা গবেষণা কেন্দ্রের সঙ্গে এই অংশীদারত্বের ঘোষণা দিয়েছে সিইপিআই। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বৈশ্বিক এই নেটওয়ার্কে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত গবেষণাকেন্দ্রগুলো হলো নেক্সেলিস (কানাডা), পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড (যুক্তরাজ্য), ভিসমেডেরিসরল (ইতালি), ভিরোক্লিনিকস-ডিডিএল (নেদারল্যান্ডস), আইসিডিডিআর,বি (বাংলাদেশ) এবং দ্য ট্রান্সলেশনাল হেলথ সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলোজিক্যাল ইনস্টিটিউট (ভারত)।
আইসিডিডিআর,বির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক জন ডি ক্লেমেনস এ প্রসঙ্গে শুক্রবার বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর সম্ভাব্য ভ্যাকসিনগুলোর রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতা এমন এক পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হয়; যার মাধ্যমে দেখা হবে যে, সর্বজনীন জনস্বাস্থের জন্য কোন ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা বা কার্যকারিতা হবে সবচেয়ে বেশি।’
অধ্যাপক জন ডি ক্লেমেনস আরও বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষাগার নেটওয়ার্ক স্থাপনের জন্য সিইপিআইয়ের এমন প্রচেষ্টার প্রশংসা জানাচ্ছি, এবং ভ্যাকসিনগুলো মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একটি সংস্থা হিসেবে আমরা বৈশ্বিক এই নেটওয়ার্কে অবদান রাখতে আগ্রহী।’
নেটওয়ার্কটি পরীক্ষার জন্য একই রি-এজেন্ট ব্যবহার করবে- যা নেক্সেলিস এবং পিএইচইর ল্যাবের তৈরি এবং একাধিক কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রার্থীদের প্রতিরোধ ক্ষমতা পরিমাপ করার জন্য সাধারণ প্রটোকল অনুসরণ করে।
সিইপিআই হলো নরওয়েভিত্তিক একটি দাতব্য সংস্থা। ২০১৬ সালের আগস্টে সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। গুরুতর সংক্রামক রোগের ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগে তারা সহায়তা দিয়ে থাকে। এ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতারা হলো দ্য ওয়েলকাম ট্রাস্ট, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং ভারত ও নরওয়ে।
সূত্র: জাগোনিউজ
এনএ/রাতদিন