প্রতি ভরিতে প্রায় ২ হাজার টাকা কমিয়ে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এর ফলে দেশের বাজারে ভালো মানের স্বর্ণের দাম দাঁড়াচ্ছে প্রতি ভরি ৭২ হাজার ৬৬৭ টাকা।
মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারি বাজুসের সভাপতি এনামুল হক খান ও সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বুধবার, ১৩ জানুয়ারি থেকে স্বর্ণের এ নতুন দর কার্যকর হবে।
বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় শঙ্কিত বৈশ্বিক অর্থনীতি, ডলার ও তেলের দরপতন, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় স্বর্ণবাজারে দরের উত্থান-পতন সত্ত্বেও ব্যবসার অচল অবস্থা কাটাতে এবং ভোক্তা সাধারণের কথা চিন্তা করে দশ দিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানো হলেও রুপার দাম অপরিবর্তিত থাকছে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৩ জানুয়ারি থেকে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম এক হাজার ৯৮৩ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৭২ হাজার ৬৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬৯ হাজার ৫১৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬০ হাজার ৭৬৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৫০ হাজার ৪৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্বর্ণের দাম কমলেও রুপায় পূর্বের নির্ধারিত দাম বহাল রয়েছে। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫১৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ১৪৩৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১২২৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ৯৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
১২ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে ৭৪ হাজার ৬৫০ টাকায়। ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৭১ হাজার ৫০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬২ হাজার ৭৫২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৫২ হাজার ৪৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
নতুন বছরের শুরুতে ৫ জানুয়ারি স্বর্ণের দাম বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করেছিল বাজুস। যা ৬ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। এতোদিন ওই দামেই স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে। নতুন করে দাম কমানোর ফলে বছরের শুরুর দামে চলে গেছে স্বর্ণ।
এনএ/রাতদিন