মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন জেমি আক্তার নামের এক জেডিসি পরীক্ষার্থী। ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীর সমির উদ্দিন স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের ২০১ নং কক্ষে মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে বিশ্রামপুর দাখিল মাদরাসা থেকে জুনিয়র দাখিল পরীক্ষা (জেডিসি) দিচ্ছে সে।
বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে যায় সে। জেমি আক্তার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের বিশ্রামপুর আগাটলা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে।
কেন্দ্র সচিব ও বড় পলাশবাড়ি আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ কুসুম উদ্দীন জানান, পুরো ৩ ঘণ্টা পরীক্ষা দিয়েছেন ওই পরীক্ষার্থী। চোখে জল নিয়ে পরীক্ষা দিতে আসলেও সান্ত্বনা প্রদানের সময় পরীক্ষা ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছে জেমি।
পরীক্ষার্থীর ভাই খাদেমুল ইসলাম জানান, গত দেড় বছর ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন তার মা রোকেয়া খাতুন (৩০)। গত তিনমাস হলো গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার ভোররাত সাড়ে ৩টায় মারা যায় মা।
খাদেমুল ইসলাম আরও জানান, আজ দুপুর ২টার সময় জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে তার মা রোকেয়া খাতুনকে। সকালে খালি মুখে চোখে জল নিয়ে পরীক্ষা দিতে গেছে তার আদরের ছোট বোন জেমি আক্তার। মাকে হারিয়ে ভাইবোন দুজনেই অসহায় হয়ে গেলেন বলে দুঃখ প্রকাশ করেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম জানান, বিষয়টি অত্যন্ত কষ্টের। এসময় ওই পরীক্ষার্থীর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি।
এনএ /রাতদিন