মিঠাপুকুরে ২ আদিবাসী তরুণী গণধর্ষণ-আত্মহত্যা: প্রধান আসামী গ্রেপ্তার

রংপুরের মিঠাপুকুরে আদিবাসী দুই বোনকে গণধর্ষণের মূল হোতা রতন মিনজিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। রাজধানীর সাভার এলাকা থেকে গতকাল, ২৫ এপ্রিল রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল সকালে রংপুর র‌্যাব-১৩ এর সদর দপ্তরে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অধিনায়ক মোজাম্মেল হক।

ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, রতন মিনজির সঙ্গে মিঠাপুকুরের আদিবাসী পল্লীর এসএসসি পরীক্ষায় অবতীর্ণ এক স্কুলছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১৮ এপ্রিল ফোনে ওই ছাত্রীকে দেখা করতে ডাকে রতন। রতনের সাথে দেখা করার উদ্দেশ্যে ওইদিন বিকেলে তার চাচাতো বোনকে সঙ্গে নিয়ে পীরগাছায় ভগ্নিপতির বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় ওই ছাত্রী।

পথিমধ্যে রংপুর শহরের মাহিগঞ্জ এলাকায় পৌঁছলে রতন ও তার দুই বন্ধু হযরত এবং মামুন মিলে ওই দুই বোনকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এবং এই ঘটনা প্রকাশ করলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এতে দুইবোন ভীত হয়ে কাউকে কিছু না বলে পরদিন তারা বাড়ি ফেরে।

বাড়ী ফিরে লজ্জা এবং ক্ষোভে বিকেল ৫টার দিকে শয়নকক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বড় বোন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর...
style="display:block; text-align:center;" data-ad-layout="in-article" data-ad-format="fluid" data-ad-client="ca-pub-3929264565086846" data-ad-slot="3647344972">

ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, বিষয়টি প্রথমে কেউ না জানলেও পরে ওই ছাত্রীর মুঠোফোনে প্রেমিক রতনের ছবি এবং তাকে উদ্দেশ্য করে লেখা ক্ষুদে বার্তায় আত্মহত্যার নেপথ্যের কারণ বেরিয়ে আসে।

ঘটনার পাঁচদিন পর ২৩ এপ্রিল আত্মহত্যাকারী ছাত্রীর এক বোন বাদী হয়ে কথিত প্রেমিক রতনসহ তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।

মামলা দায়েরের পর র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাতে সাভার এলাকায় আত্মগোপনে থাকা রতন মিনজিকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

র‌্যাব-১৩ অধিনায়ক জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রতন মিনজি ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।

এনএইচ/রাতদিন