তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমান ছিল পাকিস্তানি দালাল- দোসরের চরিত্রে। জিয়া পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এ ১৯৫৯-১৯৬৪ সাল পর্যন্ত কাজ করেছিল। মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমান কোন সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ তো করেন নাই বরং পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে কাজ করেছিল।’
বুধবার, ৬ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের মরহুম জহুর হোসেন হলে বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোট কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় চার নেতার স্মরণে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জাতিকে মেধাশূন্য করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৭১’এর ১৪ ডিসেম্বর ঘটিয়েছিল বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড। এরপর ৭৫’এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙ্গালী জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার অপচেষ্টায় থেমে না থেকে ৩ নভেম্বর জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার মহাপরিকল্পনা হিসেবে কারাগারের নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভেতর ঢুকে চার নেতাকে প্রথমে গুলি করে পরে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সমাপ্তি ঘটে স্বাধীনতার উজ্জ্বল আলোকিত অধ্যায়ের।
শেখ শাহ আলমের নেতৃত্বে চার নেতার স্মরণে জেলহত্যা দিবসের আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আকতার, সংসদ সদস্য নাহিদ ইজারা খান, সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মো. নুরুল ইসলাম ঠান্ডু।
এনএ /রাতদিন