প্রতিনিয়ত চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই হচ্ছে অহরহ। আছে মানুষ গুম-খুন, অপহরণের অভিযোগও। কিন্তু একটি মোরগ হত্যার রহস্য নিয়ে রীতিমতো গলদঘর্ম হতে হচ্ছে পুলিশ সদস্যদের।
সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের বিহারের কাইমুর এলাকায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, গত সপ্তাহে পোষা মোরগ হত্যার অভিযোগে দুর্গাবতি থানায় আট প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন কমলা দেবী (৪৫) নামে এক নারী।
জানা যায়, প্রতিবেশী মনোজ রামের পরিবারের সঙ্গে কমলা দেবীর দ্বন্দ্ব অনেক দিনের। গত শনিবার রাতে হঠাৎ পোষা মোরগটি খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি। পরে, মনোজের বাড়ির পাশে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় মোরগটিকে।
কমলা দেবীর দাবি, প্রতিবেশীরা ইচ্ছা করে তার শখের মোরগটিকে হত্যা করেছেন। এ নিয়ে আটজনের নামে থানায় অভিযোগ করেন তিনি।
তবে, অভিযোগের পর আরও ক্ষেপে যান মনোজ পরিবারের সদস্যরা। তারা কমলা দেবীর বাড়িতে ঢুকে তাকে ও তার ছেলেকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, দুই পরিবারের দ্বন্দ্বের কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
এছাড়া, স্থানীয় পশু হাসপাতালে মারা যাওয়া মোরগটির ময়নাতদন্তও শেষ হয়েছে। এখন চূড়ান্ত প্রতিবেদন আসার অপেক্ষা। প্রাথমিকভাবে গলায় রক্ত জমে মোরগটির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এনএইচ/রাতদিন
উত্তরের মুখ