ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান পেসারদের বোলিং তোপে স্বল্প রানে গুটিয়ে যাওয়া পাকিস্তান, জবাবে ক্রিস গেইলের ফিফটিতে ‘যাচ্ছেতাই’ হার দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলো পাকিস্তান।
শুক্রবার, ৩১ মে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে দ্বিতীয় ম্যাচে ২১.৪ ওভারে ১০৫ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। জবাবে ক্রিস গেইলের ফিফটিতে ১৩.৪ ওভারে সহজ জয় তুলে নেয় ওয়েষ্ট ইন্ডিজ।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান দাঁড়াতেই পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস আক্রমণের সামনে। শুরু থেকেই প্রকট হয়ে উঠে শর্ট বলে ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা। সেটা দারুণভাবে লাগিয়েছেন জেসন হোল্ডার, ওশান টমাস, আন্দ্রে রাসেলরা।
তৃতীয় ওভারে লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে কিপারের গ্লাভসবন্দি হয়ে ফিরেন ইমাম-উল-হক। আন্দ্রে রাসেলের বাউন্সার ফখর জামানের হেলমেটের গ্রিলে লেগে স্টাম্পে আঘাত হানে।
১২ রানে একবার জীবন পাওয়া বাবর আজম টানতে পারেননি পাকিস্তানকে। বেশিক্ষণ টিকেননি অধিনায়ক সরফরাজ। অনেকটা সময় ক্রিজে থাকা মোহাম্মদ হাফিজ ফিরেন ওশান টমাসের গতিময় বাউন্সারে।
একশর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়া দলকে তিন অঙ্কে নিয়ে যান ওয়াহাব রিয়াজ। তাকে বোল্ড করে পাকিস্তানকে ১০৫ রানে থামিয়ে দেন টমাস। বিশ্বকাপে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে এটাই দেশটির সর্বনিম্ন। গত বিশ্বকাপে ক্রাইস্টচার্চে করা ১৬০ ছিল তাদের আগের সর্বনিম্ন।
স্বল্প রান তাড়া করতে গেইলের ৩৪ বলে তিন ছক্কা ও ছয় চারে ৫০ রানের ঝড়ো ইনিংস ম্যাচ জয়ের পথকে অনেকটাই সহজ করে দেয়।
বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো কোনো ম্যাচে দুইশ বল বাকি থাকতে হারে পাকিস্তান। বল বাকি থাকার দিক থেকে তাদের সবচেয়ে বড় হার ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ১৯৯৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে হেরেছিল ১৭৯ বল বাকি থাকতে।
পাকিস্তানের প্রাপ্তি বলতে মোহাম্মদ আমীরের ২৬ রানে ৩ উইকেটই যা। খরুচে বোলিং করে উইকেটশূন্য থাকেন হাসান আলি ও ওয়াহাব রিয়াজ।
অন্যদিকে দারুণ বোলিংয়ে ৪ উইকেট নেওয়া টমাস জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২১.৪ ওভারে ১০৫ (ইমাম ২, ফখর ২২, বাবর ২২, হারিস ৮, সরফরাজ ৮, হাফিজ ১৬, ওয়াসিম ১, শাদাব ০, হাসান ১, ওয়াহাব ১৮, আমির ৩*; কটরেল ৪-০-১৮-১, হোল্ডার ৫-০-৪২-৩, রাসেল ৩-১-৪-২, ব্র্যাথওয়েট ৪-০-১৪-০, টমাস ৫.৪-০-২৭-৪)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৩.৪ ওভারে ১০৮/৩ (গেইল ৫০, হোপ ১১, ব্রাভো ০, পুরান ৩৪*, হেটমায়ার ৭*; আমির ৬-০-২৬-৩, হাসান ৪-০-৩৯-০, ওয়াহাব ৩.৪-১-৪০-০)