রংপুরে আগামীকাল আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় তের বছর পর রংপুর জেলা ও নয় বছর পর মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হতে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর বহুল প্রতীক্ষিত এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে ঘিরে পুরো নগর জুড়ে শোভা পাচ্ছে ফেস্টুন, ব্যানার আর বিলবোর্ড। এই উৎসবকে ঘিরে উজ্জীবিত দলের নেতা-কর্মীরা।
সম্মেলন সফল করতে সব প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে অনুষ্ঠিত হবে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন।
এতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এছাড়াও আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মহানগরের দলের নেতারা।
সম্মেলনকে ঘিরে সভা কিংবা যে কোনো কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্ত দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। সবার মধ্যে বিরাজ করছে চাঙ্গা ভাব।
আর পদ-পদবি প্রত্যাশী নেতারা তাকিয়ে আছেন কাউন্সিলরদের দিকে। কেউ কেউ কেন্দ্রের নজরে থেকে নিজের পদ পাকাপোক্ত করতে শেষ মূহুর্তেও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
কারা হচ্ছেন জেলা ও মহানগরের নতুন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক- এই প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে। নেতৃত্বে জায়গা পেতে জেলা ও মহানগরের অন্তত দেড় ডজনের বেশি নেতা তৎপরতা চালাচ্ছেন। তাদের দাবি প্রতিহিংসা নয়, সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে উঠে আসবে যোগ্য নেতৃত্ব।
দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ এবং ত্যাগীদের গুরুত্ব দিতে চান তৃণমূলের কর্মীরা। বিশেষ করে কাউন্সিলররা চাইছেন ভোটের মাধ্যমেই বের করা হোক নতুন নেতৃত্ব। তবে কেন্দ্রীয় নেতাদের সিলেকশনেও হতে পারে নতুন কমিটির নেতা নির্বাচন।
সম্মেলনের প্রস্তুতির ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু বলেন, ‘সম্মেলন সফল করতে প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। অর্থ উপ-কমিটি, মঞ্চ-সাজসজ্জা ও শৃঙ্খলা উপ-কমিটি, আপ্যায়ন উপ-কমিটি, অভ্যর্থনা উপ-কমিটি, প্রচার উপ-কমিটি, দপ্তর উপ-কমিটিসহ ৬টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়াও নেতাকর্মীদের মাঝে বিভিন্ন দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে।’
আগামীকাল সকাল ১১টায় পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শুরু হবে। এরপর দুপুরে সম্মেলনের দ্বিতীয় অংশে টাউন হলে জেলার প্রায় সাড়ে তিনশ কাউন্সিলরের ভোট কিংবা মতামতের ভিত্তিতে নতুন কমিটি গঠন করা হবে বলে জানা গেছে।
এনএইচ/রাতদিন