রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত পিসিআর মেশিনে নমুনা পরীক্ষা শুরু হবে বৃহষ্পতিবার, ২ এপ্রিল থেকে। এতে প্রতি ছয় ঘণ্টায় ৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। গতকাল সোমবার মেশিন স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন রংপুর গণপূর্ত বিভাগের এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মিন্টু রায়।
মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ সংশ্লিষ্ট টেকলোজোজিস্টসহ সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে। আর প্রয়োজনীয় কীটস এ সময়ের মধ্যে এসে পৌছাবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে দশটায় রংপুর মেডিকেল কলেজে এসে পৌছায় করোনা নমুনা পরীক্ষার পিসিআর মেশিন। তখন থেকেই কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবরেটরীতে স্থাপনের কাজ শুরু করে গণপূর্ত বিভাগ। আর তা তদারকি করছে করেজের মাইক্রোবায়োলোজি, ভাইরোলোজি ও বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগ। ঢাকা থেকে সাপ্লাইয়ের লোকজন এসে সফটওয়্যার ইন্সটলের কাজও করেছেন। সোমবার পুরোকাজটি সম্পন্ন হয়।
রংপুর গণপূর্ত বিভাগের ঠিকাদার আকবর আলী জানান, গত ৫ দিনে আমরা রাত দিন কাজ করে মেশিনটি স্থাপন করেছি। এখন ল্যাবরেটরি প্রস্তুত।
রংপুর গণপূর্ত বিভাগের এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মিন্টু রায় জানান, মেশিন সাপ্লাই প্রতিষ্ঠানের লোকজন এবং কলেজের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সহযোগিতায় গত কয়েকদিন ২৪ ঘন্টা কাজ হয়েছে। এখন মেশিন, পুরো ল্যাবরেটরি প্রস্তুত করে অধ্যক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাব টেকনোলজিস্ট আতোয়ার রহমান জানান, ‘এখন সব কিছু প্রন্তুত।’
কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডাক্তার মো. মোস্তাকিমুর রহমান জানান, দুই-তিনদিনের মধ্যেই এসে পৌঁছাবে প্রয়োজনীয় কিট। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঢাকায় গিয়ে টেকনোলোজিস্টদের প্রশিক্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। সে কারণে ঢাকার টেকনোলজিস্টরা মঙ্গলবার রংপুরে এসে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দিবেন।
২ এপ্রিল থেকে নমুনা পরীক্ষার কাজ শুরু করার কথা জানিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাক্তার এ কে এম নুরুন্নবী লাইজু জানান, এই মেশিনে চার থেকে ছয় ঘণ্টায় ৯৬ জনের করোনা নমুনা পরীক্ষা সম্ভব। সুষ্ঠু ও নিয়মতান্ত্রিক ভাবে পরীক্ষার জন্য ইতোমধ্যেই করা হয়েছে নীতিমালা। সেই নীতিমালার আলোকে রংপুর অঞ্চলের সন্দেহভাজনদের পরীক্ষা করা হবে।
সিভিল সার্জন হিরম্ব কুমার রায় জানিয়েছেন, রংপুর বিভাগের ৮ জেলার ৫৪ উপজেলার সন্দেহভাজন রোগীরা এই সুবিধা পাবেন।
জেএম/রাতদিন