রংপুরে তবুও মহা ধুমধামে বিয়ে!

প্র্রাণঘাতি করোনা সংক্রমনের আশংকায় দেশে যখন সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে মরিয়া প্রসাসন। সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ প্রসাশন মরিয়া হয়ে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার প্রানান্ত চেষ্টা চালাচ্ছে। ঠিক সেসময়ই রংপুরের পীরগাছায় মহা ধুমধামে আয়োজিত হলো বিয়ের অনুষ্ঠান।

গতকাল বুধবার, ৮ এপ্রিল রাতে  উপজেলার অন্নদানগর ও তাম্বুলপুর ইউনিয়নে এ বিয়ের আয়োজন করা হয়।

বিয়ে অনুষ্ঠানে দু’পক্ষের শতাধিক লোকের সমাগমতো ছিলই। এছাড়া আরও এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে।  নববধূ দেখতে বরের বাড়িতে ভিড় করেন নারায়ণগঞ্জ ফেরত হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা একটি পরিবারের কয়েকজন সদস্য। বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অন্নদানগর ইউনিয়নের প্রতিপাল বগুড়াপাড়া গ্রামের মহসিন মিয়ার ছেলের সঙ্গে পাশের তাম্বুলপুর ইউনিয়নের সোনারায় গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা এক মেয়ের  ইতোপূর্বে বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছিল। বুধবার উভয় পক্ষের সম্মতিতে বিয়ের আয়োজন করা হয়। রাত ৮ টার দিকে বর পক্ষের লোকজন মাইক্রোবাসে করে কনের বাড়িতে আসেন। পরে দুই পক্ষের শতাধিক লোকের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়।

এদিকে বরপক্ষ বাড়ি ফিরলে প্রতিপাল বগুড়াপাড়া এলাকার স্থানীয়রা মহসিন মিয়ার বাড়িতে নববধূকে দেখতে আসেন।  এসময় সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ থেকে পীরগাছায় আসা হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা একটি পরিবারের কয়েকজন প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে সেই বাড়িতে উপস্থিত হন।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের কঠোর অবস্থানের মধ্যেও প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে এমন বিয়ের আয়োজনে সর্বত্র মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একই সাথে নারায়ণগঞ্জ ফেরত পরিবারের সেখানে উপস্থিতির ঘটনায় পুরো এলাকায় এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।

এ রকম ঘটনা পুরো এলাকার জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তার বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়ারও অনুরোধ জানান।

এ বিষয়ে পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, বিয়ের বিষয়টি আমাদের জানা নেই। এ রকম হলে অবশ্যই সেটা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমীন প্রধানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।