রংপুরে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন থেকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান রনিকে দল থেকে বহিস্কারের দাবি করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ‘বিকৃতির’ অভিযোগে এ দাবি জানানো হয়েছে। সম্প্রতি রনিকে স্বামী দাবি করা এক নারী তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
আজ রোববার, ১৩ সেপ্টেম্বর রংপুর নগরীর কাচারি বাজারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে তাকে বহিষ্কার ও শাস্তির দাবি জানানো হয়। এতে জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের একাংশসহ কয়েকটি সংগঠন অংশ নেয়।
মানববন্ধনে জানানো হয়, একটি কক্ষের ভিতর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান রনি ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিকৃত করে অস্বাভাবিক একটি বক্তব্য দেন। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দাবি করে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রনির মতো লোকজনের জন্য ছাত্রলীগের গায়ে কালিমা লেগেছে। যার জন্য সমাজে মুখ দেখানো দায় হয়েছে। ছাত্রলীগকে কলঙ্কিত করার জন্য তার উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বিকৃত করার অপরাধেও তার শাস্তিসহ ছাত্রলীগের পদ থেকে বহিস্কার জানানো হয়েছে।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন ২৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম হীরা, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক লক্ষণ চন্দ্র ও কামরুজ্জামান শাহিন, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জিন্নাত হোসেন লাভলু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাউদ্দৌলা সাগর ও মনির হোসেন, সহ সম্পাদক রোহান মাহমুদ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন।
আরও বক্তব্য রাখেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম, রংপুর কলেজের যুগ্ম আহবায়ক মনজুরুল ইকবাল মানিক ও রংপুর মহানগর শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সনি।
এবি/রাতদিন