রংপুর নগরীর বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। পাঁচদিনের মাথায় আজ সোমবার, ২৭ জুলাই আবারও অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এতে চারটি প্রতিষ্ঠানের দুই লাখ টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়েছে।
আজ সোমবারও নগরীর ধাপ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন জাহান। এসময় তাঁর সাথে ছিলেন মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তা ও সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি।
সোমবার অভিযান পরিচালনা করা হয় আপডেট ক্লিনিক, ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রোজ হাসপাতাল এবং ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালে।
পুলিশ জানায়, সিভিল সার্জন অফিসের অনুমোদন ছাড়াই অসঙ্গতিপূর্ণভাবে চিকিৎসাসেবা প্রদান ও মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকাসহ নানা অভিযোগে ওই চার প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সাথে ত্রুটিগুলো দ্রুত দূর করতে তাদের সতর্ক করেছেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, রংপুর নগরীতে প্রায় সাড়ে ৫০০ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। অথচ মাত্র ২২৯টি প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন রয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন জাহান জানান, নিবন্ধনহীন হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর পর থেকে শোনা যাচ্ছে এ ধরণের ৭০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন নেই। তারা নানাভাবে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছে।
রংপুরে স্বাস্থ্যখাতে শৃংখলা ফেরাতে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে গত ২৩ জুলাই নগরীর ‘সেবা হাসপাতালে’র মালিক রফিকুল ইসলামকে তিনমাসের কারাদন্ডসহ এক লাখ জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত। পাশাপাশি তার ক্লিনিকটিও সিলগালা করে দেয়া হয়। চিকিৎসক না হয়েও দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন রফিকুল।
অপরদিকে গত ২৫ জুলাই নগরীর ধাপ এলাকার ‘মা ও বাবা হাসপাতাল’ সিলগালা করা হয়েছে। একইসাথে এর মালিক মো. খলিলুর রহমান সোহেলকে এক মাসের কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই দিন অনুমোদনহীন পপুলার জেনারেল হাসপাতালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, ডিউটি চিকিৎসক না থাকা ও বিকল্প বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা না থাকায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়। আর অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা রংপুর স্পেশালাইজড হাসপাতাল অনুমোদন পাওয়ার আগেই চিকিৎসাসেবা শুরু করায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এবি/রাতদিন